শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কঠিন চীবর দানোৎসব শেষ

কঠিন চীবর দানোৎসব শেষ

শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষুর অংশগ্রহণ

বান্দরবানে মহা পিন্ডদানের মধ্যদিয়ে শেষ হল মাস ব্যাপী ্েবৗদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কঠিন চীবর দানোৎসব। এই উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) সকালে স্থানীয় রাজ গুরু বৌদ্ধ বিহার থেকে শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষু পায়ে হেঁটে রাজারমাঠ, উজানী পাড়া ও মধ্যম পাড়াসহ শহরের প্রধান সড়কে সারিবদ্ধভাবে পিন্ডদান অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। এসময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি সহ শহরের হাজারো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নর নারি ভিক্ষুদের পিন্ডদান করেন। বৌদ্ধ ধর্মের প্রবর্তক গৌতম বুদ্ধের আমল থেকে ভিক্ষুগণ সারিবদ্ধভাবে বিভিন্ন পাড়া ও মহল্লা থেকে পিন্ড আহরণ করতেন। সেই রীতি অনুসারে বান্দরবানের বৌদ্ধ সম্প্রদায় কঠিন চীবর দানোৎসবের শেষে এই পিন্ডদান অনুষ্ঠানটি উদ্যাপন করে থাকেন।

বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা জানান, তিন মাস বর্ষাবাস পালন শেষে প্রবারণা পুনির্মার পর থেকে বৌদ্ধ বিহার গুলোতে শুরু হয় কঠিন চীবর দানোৎসব। পূণ্য লাভের আশায় বিহারে গিয়ে রাতারাতি তুলা থেকে সুতা তৈরী করে সেই সুতায় রং লাগিয়ে শুকানোর পর তাতে কাপড় বুনে সেই কাপড় বৌদ্ধ ভিক্ষুকে দান করে পূজারীরা। সারা রাত জেগে চীবর তৈরি ও দান করার এই কঠিন প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় কঠিন চীবর দানোৎসব। আড়াই হাজার বছর আগে বৌদ্ধ ধর্মের  প্রবতর্ক গৌতম বুদ্ধের আমল থেকেই বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এই তিথিতে কঠিন চীবর দানোৎসব পালন করে আসছেন। সকলের শান্তি ও মঙ্গল কামনায় বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নরনারীরা এই চীবর দান করে থাকেন।

এ বিষয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষু তিল কান্ত মহাথের বলেন, আমাদের বৌদ্ধ ধর্মে চীবর দান হচ্ছে শ্রেষ্ঠ দান, এর উপর আর কোন দান নেই। এই দানের মাধ্যমে অধিক পূণ্য লাভ করা যায়। তিনি আরও বলেন, এই চীবর পরিধান করে ভগবান বৌদ্ধসহ সকলেরই বৌদ্ধত্ব লাভ করেছিলেন।

আরও পড়ুনঃ  চলতি মাসেই মাঠে নামছে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক টিম

উল্লেখ্য, ১২ই অক্টোবর থেকে বান্দরবানে শুরু হয় কঠিন চীবর দানোৎসব। জেলায় মারমা, চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা ও বড়ুয়াসহ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের চার শতাধিক বৌদ্ধ বিহার রয়েছে। 

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন