শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বড় ঝুঁকি উপকূলে

বড় ঝুঁকি উপকূলে

গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘুর্ণিঝড়ের কারণে বাংলাদেশে বছরে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (জিডিপির ০.৭ শতাংশ) অর্থের ক্ষতি হচ্ছে। ঘন ঘন ঘুর্ণিঝড় হলে প্রতিনিয়ত এই ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়বে। গুরুতর বন্যার কারণে জিডিপি ভিত্তিরেখার তুলনায় ৯ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে দারিদ্রের হার কমিয়ে আনলেও এসবের ফলে আবারো বৃদ্ধি পাবে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের দক্ষিণ এশিয়ার ‘কান্ট্রি ক্লাইমেট এন্ড ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট’ (সিসিডিআর) বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়। গতকাল সোমবার রাজধানী ঢাকার হোটেল রেঁনেসায় প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্রবিমোচনে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। ২০০০ সালে দারিদ্রের হার যেখানে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ ছিল সেটি ২০১৬ সালে কমে ২৪ দশমিক ৩ শতাংশে এসে দাঁড়ায়। অর্থাৎ ১৬ বছরে ২৪ দশমিক ৬ শতাংশ কমেছে। বিশ্বের দ্রুত বর্ধনশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। দেশটির মাথাপিছু আয় গত ৩ দশকে ৪ শতাংশ হারে বেড়েছে।

অগ্রগতির এই ধারাবাহিকতা মানবসম্পদ উন্নয়ন, সেবা সরবরাহ, যোগাযোগ এবং গ্রামীণকল্যাণে বাড়তি উন্নতির ওপর নির্ভর করবে। এসব বিষয় প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্রবিমোচনের জন্য অপরিহার্য। এসবের সঙ্গে স্থানীয় উৎপাদকদের বাণিজ্য প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়ানো, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহ সংহত করা, আর্থিকখাত শক্তিশালী ও জলবায়ু সহিঞ্চুতা বাড়ানোর দ্রুত কার্যক্রমের মাধ্যমে অবশ্যই অর্থনৈতিক সংস্কার ত্বরান্বিত করতে হবে।

বাংলাদেশ গুরুতর জলবায়ু ঝুঁকিতে রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, জোরালো কার্যক্রম হাতে না নিলে দরিদ্র এবং দুর্বল ও ঝুঁকিতে থাকা মানুষের ওপর ক্ষতির প্রভাব পড়ে উন্নয়নের গতি দুর্বল করে দিবে। কেননা দেশটির উপকূলে মূলত জলবায়ুর ঝুঁকি প্রকট। তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে এবং বৃষ্টিপাত ৪ শতাংশ বাড়লে ২০১৫ সাল নাগাদ বঙ্গোপসাগরে সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা ২৭ সেন্টিমিটার অথবা তার চেয়ে বেশি বাড়তে পারে। তাতে সম্পদহানীর ঝুঁকি প্রায় দ্বিগুণ হবে। বর্তমানে বছরে এর পরিমাণ ৩০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

উপকূলে কৃষি উৎপাদন ব্যাহত, পানি সরবরাহ ও উপকূলীয় ইকোসিস্টেমের বৈচিত্র হুমকির মুখে পড়বে। কোনো কার্যক্রম হাতে না নিলে ২০২৪ সালে কৃষিজমি জাতীয়ভাবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি এবং দক্ষিণাঞ্চলে ১৮ শতাংশ কমবে। জলবায়ুর পরিবর্তনশীলতা এবং গুরুতর দুর্যোগের কারণে ২০৫০ সালে মোট কৃষি জিডিপির এক-তৃতীয়াংশ হারিয়ে যেতে পারে। এ সময়ে ১৩ মিলিয়রে বেশি মানুষের জলবায়ুজনিত স্থানীয় অভিবাসন (স্থানচ্যুত) ঘটবে।

আরও পড়ুনঃ  পাইকগাছার আলোচিত যমুনা ইট-ভাটা বন্ধ

এই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ইতিমধ্যে ঝুঁকিপ্রবণ এলাকাকেন্দ্রিক দরিদ্র মানুষের ওপর আঘাত এনেছে। এটি আরো বৈরি হতে পারে। বিশেষ করে তাপমাত্রা ও আদ্রতা এবং স্বাস্থ্যের ওপর তার প্রভাবসহ পরিবেশ ক্ষয় এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি আরো বাড়াবে। তারমধ্যে বরেন্দ্র এলাকা, উপকূল, হাওর এবং পার্বত্য এলাকার মতো হটস্পট এবং বিশেষত ময়মনসিংহে পশ্চিমের, রংপুরের পূর্বের উপজেলাগুলো এবং খুলনার দক্ষিণ অংশে উচ্চদারিদ্র হার এবং ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় সহিঞ্চুতা বাড়াতে বিনিয়োগে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

কান্ট্রি ক্লাইমেট এন্ড ডেভেলপমেন্ট রিপোর্টে (সিসিডিআর) বলা হয়, পরিবেশদূষণ জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব আরও বাড়িয়ে দেয়। বায়ুদূষণে বছরে প্রাক্কলিত ক্ষতি জিডিপির ৯ শতাংশ। বাংলাদেশে ৩২ শতাংশ মৃত্যু পরিবেশদূষণের সঙ্গে যুক্ত। এজন্য উচ্চ কার্বন নির্গমন থেকে শিল্প-কারখানাগুলোকে বেরিয়ে আসতে হবে। তাতে অনানুষ্ঠানিক শ্রমিকসহ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এসব ঝুঁকি ও সুযোগ চিহ্নিত করেছে।

এজন্য মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা, জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদানসমূহ (এনডিসি), জাতীয় অভিযোজন কর্ম-পরিকল্পনা, বাংলাদেশ ডেল্টা পরিকল্পনা ২১০০, অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও এবং রুপকল্প ২০৪১ গ্রহণ করেছে। এই সিসিডিআরে নিকট মেয়াদের নীতি এবং বিনিয়োগ অগ্রাধিকারগুলো চিহ্নিত করেছে। তাতে বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের প্রতি সহনশীলতা গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। এসব করতে তিনটি আন্তঃসম্পর্কিত অগ্রাধিকার ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে। ১. জনকেন্দ্রিক, জলবায়ুবান্ধব স্থানিক উন্নয়ন। ২. কার্বন হ্রাস এর মাধ্যমে উন্নয়নের সুবিধা পৌঁছানো ও ৩. পরিবেশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক পুনর্বিন্যাস জোরদার করা।

জনকেন্দ্রিক, জলবায়ুবান্ধব স্থানিক উন্নয়নের মধ্যে রয়েছে অধিকতর সবুজ, সহনশীল এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি মডেলে রূপান্তর গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য কৃষি এবং পরিবহণখাতে দক্ষতা বাড়ানো। এসবখাতের রূপান্তর, অধিকতর জলবায়ু-বান্ধব সামাজি সুরক্ষা কর্মসূচি, সাশ্রয়ী ও টেকসই আবাসনে বিনিয়োগ, উপকূল এবং বন্যাপ্রবণ এলাকা রক্ষায় প্রকৃতি-নির্ভর সমাধানের সম্প্রসারণ। নগর উন্নয়নের মধ্যে রয়েছে টেকসই যাতায়াত ব্যবস্থা, জরুরি সরকারি সেবা, পানি, বর্জ্যব্যবস্থাপনা, সাশ্রয়ী আবাসন, আবাসস্থলের কাঠামো পরিবর্তন, টেকসই খাদ্যব্যবস্থা ইত্যাদি।

ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের দক্ষিণ এশিয়ার কান্ট্রি ক্লাইমেট এন্ড ডেভেলপমেন্ট রিপোর্টে বলা হয়েছে ২০০৫ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে দারিদ্র হ্রাসে কৃষির অবদান ৬৯ শতাংশ। ২০১০ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে কৃষির অবদান ছিল ২৭ শতাংশ। গ্রামীণখাতে প্রাণিসম্পদ ও মৎস্যসম্পদ কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রায় অর্ধেক এবং জীবিকার উৎস।

আরও পড়ুনঃ  শ্রীনগরে ৪৪৭ ক্রেতা পেলেন টিসিবির পণ্য

দ্বিতীয় অগ্রাধিকার তথা কার্বন হ্রাস এর মাধ্যমে উন্নয়নের সুবিধা পৌঁছানোর বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, জ্বালানি, পরিবহন, শিল্প এবং কৃষি থেকে কার্বন নিঃসরণ তুলনামূলক কম খরচে করা যেতে পারে। এতে বায়ুদূষণ, স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় এবং কর্মসংস্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত উল্লেখযোগ্য সুবিধা বয়ে আনবে। বর্তমানে বাংলাদেশ বৈশ্বিক গ্রিন হাউস গ্যাস (জিএইচজি) নিঃসরণ করে শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ  (২০১৮ সালে ২২১ মিলিয়ন টন কার্বন ডাই অক্সাইড সমপরিমাণ)। তাতে জনপ্রতি কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমণের পরিমাণ শূন্য দশমিক ৯৬ মেট্টিক টন।

এক্ষেত্রে জ্বালানিখাতে কার্বন নির্গমন কমিয়ে উন্নয়নে সুবিধা আনতে পারে। বিশেষ করে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের বিদ্যুৎখাত উল্লেখযোগ্য আকারে বেড়েছে। উৎপাদন ক্ষমতা ৪ দশমিক ৫ গিগাওয়াটস থেকে বেড়ে ২১ গিগাওয়াটস হয়েছে। তবে সঞ্চালন সংক্রান্ত সমস্যার কারণে ঘন ঘন বিদ্যুৎবিভ্রাট ঘটছে। এতে বছরে জিডিপির ১ দশমিক ৫ শতাংশ ক্ষতি হয়। বিদ্যুৎ উৎপাদনে জীবাশ্ম-জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল। তাতে গ্যাসের অংশ ৭০ শতাংশ এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি ১ শতাংশেরও কম। সাম্প্রতিক জ্বালানি সংকট এখাতের দুর্বলতাগুলোকে তুলে ধরছে। এর কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর উচ্চনির্ভরশীলতা। সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এনডিসিতে বর্ণিত বিদ্যুৎখাতে কার্বন নির্গমন কমানোর লক্ষ্যমাত্র অর্জন করা যেতে পারে। অবশ্য এ জন্য সবখাতে জ্বালানি দক্ষতা এবং সংরক্ষণে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব।

তৃতীয় অগ্রাধিকার তথা পরিবেশ এবং প্রাতিষ্ঠানিক পুনর্বিন্যাস জোরদার করা দরকার। এবিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জলবায়ু কার্যক্রমের জন্য আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতার উন্নতি এবং বিদ্যমান নীতির বাস্তবায়ন জরুরি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জ্বালানি, কৃষি ও পানির মতো ইস্যুতে অন্যান্য মন্ত্রণালয়গুলোকেও সম্পৃক্ত করতে হবে। তা ছাড়া এখাতে বেসরকারিখাতের অংশগ্রহণ এখনো নিম্ন মাত্রায় রয়েছে। যদি ডেল্টা প্লানে ২০ থেকে ৪৭ শতাংশ অর্থায়ন প্রত্যাশা করা হয়েছে। এটির পরিমাণ ১ থেকে ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে মধ্য মেয়াদে জলবায়ু বিনিয়োগ ব্যয়ের জন্য প্রাক্কলিত কমপক্ষে ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের তহবিল লাগবে।

আরও পড়ুনঃ  করোনা আতঙ্কে ঢাকা ছাড়ছেন মার্কিন কূটনীতিক ব্যক্তিবর্গ

ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের দক্ষিণ এশিয়ার কান্ট্রি ক্লাইমেট এন্ড ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট সম্পর্কে বিশ্ব ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্টিন রেইসার বলেন, অভিযোজন এবং দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ অগ্রণী ভূমিকার রেখেছে। গত ৫০ বছরে দেশটি ঘুর্ণিঝড়ে মৃত্যুর সংখ্যা ১০০ ভাগ কমিয়েছে। এটি অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণীয়। জলবায়ু ঝুঁকি বাড়তে থাকায় অভিযোজন প্রচেষ্টা জোরদার করা অত্যাবশ্যক এবং নিম্ন-কার্বন উন্নয়ন গতিপথ বাংলাদেশের অভিঘাত-সহিষ্ণু ভবিষ্যৎতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মার্টিন রেইসার বলেন, বৈশ্বিক গ্রিন হাউস গ্যাস (জিএইচজি) নিঃসরণে বাংলাদেশের অবদান শুন্য দশমিক ৪ শতাংশ। তবে বিপুল জনসংখ্যা এবং দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে দেশটির উন্নয়ন পথ-পরিক্রম যদি গতানুগতিকভাবে চলতে খাকে তাহলে জিএইচজি নিঃসরণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। কেননা উচ্চ বায়ুদূষণের কারণে বছরে ক্ষতি হচ্ছে জিডিপির ৯ শতাংশ। দেশের ২০২১ সালে জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদানসমূহ কার্বন নিঃসরণ ২০৩০ সাল নাগাদ ২১ দশমিক ৮ শতাংশ কমানোর প্রতিশ্রুতি রয়েছে।

ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের দক্ষিণ এশিয়ার কান্ট্রি ক্লাইমেট এন্ড ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট সম্পর্কে ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স করপোরেশনের আইএফসি এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত আঞ্চলিক ভাইস প্রেসিডেন্ট জন এফ গ্যানডলফো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নানা গুরুতর ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশের জন্য জরুরিভিত্তিতে বেসরকারিখাতের অধিকতর সম্পৃক্ততা প্রয়োজন। এটি শুধু জলবায়ু কার্যক্রমে জন্য দরকারি বিলিয়ন ডলার যোগারে জন্যই নয় বরং উদ্ভাবন ও দক্ষতাকে এগিয়ে নিয়ে জনসাধারণকে উপকৃত করবে ও সুরক্ষা দিবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও জ্বালানির সঞ্চালন, আবাসন, পরিবহণ এবং জলবায়ুবান্ধব কৃষিতে বেসরকারিখাতের সম্পৃক্ততা বাড়ানো জরুরি এবং তা সম্ভব। যার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার ত্বরান্বিত করতে হবে। এজন্য সবুজ প্রকল্পগুলোতে অর্থায়ন সহজলভ্য করতে আর্থিকখাত সবুজায়ন করতে হবে।

ওয়ার্ল্ড ব্যাংক গ্রুপের দক্ষিণ এশিয়ার কান্ট্রি ক্লাইমেট এন্ড ডেভেলপমেন্ট রিপোর্ট সম্পর্কে মিগার এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিরোশি মাতানো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক প্রচেষ্টাকে সহায়তা করতে বাংলাদেশ সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে। জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য দীর্ঘমেয়াদি কৌশল অব্যাহত সিসিডিআর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিক-নির্দেশনা দিয়েছে। এটি জলবায়ু ইস্যুর প্রতি সংবেদনশীল।

সংবাদটি শেয়ার করুন