শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কবে হবে শেষ

কবে হবে শেষ
  • ২ বছরের কাজ শেষ হচ্ছে না ৪ বছরেও
  • কুমিল্লা-নোয়াখালি আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্প

কোনোভাবেই যেন শেষ হচ্ছে না কুমিল্লা- নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজ। এই পর্যন্ত তিন তিন বার বাড়ানো হয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কাজ শুরু হয়েছিল সড়কটির কাজ। ২০২০ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দীর্ঘ ৪ বছর পেরিয়ে এখনও শেষ করতে পারেনি সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

সূত্রমতে, কুমিল্লার টমচমব্রিজ থেকে নোয়াখালি বেগমগঞ্জ পর্যন্ত ৫৯ কিলোমিটার সড়কের প্রায় ৯৫ শতাংশ শেষ হলেও ঝুলে রয়েছে লালমাই উপজেলার বাগমারা, শানিচোঁ, সিটি করপোরেশন এবং লাকসামের কিছু অংশের কাজ। দীর্ঘ সময় ধরেও সড়কের কাজ শেষ না হওয়ায় ভোগান্তির কবলে পড়তে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের। ধুলোবালিতে নাকাল মানুষের জনজীবন।

সংশ্লীষ্টরা জানান, ২০০৬ সালে বাগমারা বাজার এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা নিয়ে আদালতে একটি রিট করা হয়েছে। যা জানতো না সড়ক বিভাগ। সেই রিট নিষ্পত্তি হওয়া ছাড়া সড়কের কাজ করা সম্ভব হবে না বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। তাছাড়া, লালমাই উপজেলার ১.৮ কিলোমিটার শানিচোঁ অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদারের বাড়ির পাশে ১.৬ কিলোমিটার এলাকায় ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা রয়েছে যা জানতো না সড়ক বিভাগ।

এছাড়াও লাকসামে এপিপির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৪.৫ কি. মি. সড়কে তৈরি হবে ওভারপাস। সেই ওভারপাস তৈরি হলে তার উপরে ফোর লেনের কাজ করা হবে বলে জানিয়েছে সওজ কর্তৃপক্ষ। তবে ভূমি অধিগ্রহণসহ কোনো প্রকার জটিলতা না থাকলেও সিটি করপোরেশন এলাকায় কাজ শেষ করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুনঃ  অবসরে গেলে সমস্যা নেই

সিএনজি চালক জুয়েল দৈনিক আনন্দবাজারকে জানান, প্রতিদিন সিএনজি নিয়ে বের হলেই জ্যামের মুখে পড়তে হয়। যার কারণে, ভাড়ায় চালিত সিএজির মজুরি দিয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে।

পিকআপ ভ্যানচালক সুমন আনন্দবাজারকে বলেন, আমি নোয়াখালী থেকে কুমিল্লা সব সময় যাতায়াত করি। তবে বাগমারা এলাকায় জ্যামে পড়লে দীর্ঘ সময় ধরে শেষ হয় না। যার ফলে, সব সময় সময় অনুযায়ী মালামাল গন্তব্যে পৌঁছাতে পারি না।

কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা আনন্দবাজারকে বলেন, বাগমারা ও শানিচোঁ এলাকায় মামলা থাকার কারণে ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতা নিয়ে কাজ শেষ করতে পারছেন না। এদিকে শেষবারের মতো ২০২৩ সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। অন্যথায় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এগুবে সড়ক ও জনপদ বিভাগ।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন