শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেড়েছে তাপমাত্রার ফারাক

বেড়েছে তাপমাত্রার ফারাক

তেঁতুলিয়ায় ১৬ ডিগ্রি, সীতাকুণ্ডে ৩১

  • দিনে ৩১, রাতে নেমে গিয়ে ১৮ ডিগ্রি
  • কুয়াশার চাদরে আসছে শীত

কার্তিক শেষ হতে এখনও খানিকটা বাকি, তবে পরিবর্তন দেখা দিয়েছে আবহাওয়ায়। ঢাকাসহ উত্তরের জেলাগুলোতে দেখা দিয়েছে শীতের আমেজ। সকালের দিকে হালকা কুয়াশার চাদর মুড়ে ঘুম ভাঙছে মানুষের। সারাদিনের তাপমাত্রা মোটামুটি, এরপর সন্ধ্যার পর আবার পড়তে শুরু করে হালকা কুয়াশা।

দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা নেমেছে ১৬ ডিগ্রির নিচে। সেখানে তীব্র শীত অনুভূত হতে শুরু করেছে। তাছাড়া উত্তরাঞ্চলের অনেক স্থানে তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নিচে অবস্থান করছে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, প্রকৃত শীত আসতে এখনও বাকি আছে কিছুদিন। শীতের আমেজ পুরোপুরি পাওয়া যাবে নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে।

দেশে সাধারণত ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারিকে শীতের মাস বলা হয়। তাতে বাংলা মাস দাঁড়াবে অগ্রহায়ণ, পৌষ ও মাঘ। তবে অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকেই অনেক অঞ্চলে শুরু হয় সাদা মেঘের কুয়াশা। একই সঙ্গে তাপমাত্রা কমতে থাকে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে দেখা যায়, গতকাল রবিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। ভোর ৬টায় ১৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আগেরদিনে তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। এভাবে চলে সকাল ৭টা পর্যন্ত। তবে দিনের বেলায় বেশ গরম অনুভূত হয়।

এছাড়া দিনের সর্বোচ্চ তামপাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় রাঙামাটি ও সীতাকুণ্ডতে। তবে দেশের অন্যান্য স্থানের তাপমাত্রা ১৮ থেকে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যেই অবস্থান করেছে। রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, রাজারহাট, ডিমলা, সিলেট বিভাগের শ্রীমঙ্গল ও সিলেট, খুলনা বিভাগের যশোর, চুয়াডাঙ্গা, সাতক্ষীরা, রাজশাহী বিভাগের ঈশ্বরদী ও বদলগাছীতে রাতের তাপমাত্রা ২০-এর নিচে অনুভূত হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  তিন গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে চিনি

অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে এখন দিনের বেলায় গড় তাপমাত্রা থাকছে ৩০ থেকে ৩১ ডিগ্রি। আর মধ্যরাতের পরে তাপমাত্রা কমে আসছে ২০-এর কাছাকাছিতে। ঢাকায় দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও রাতে ২০-২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার আশেপাশের জেলাগুলোতে গত কয়েকদিন ধরে কুয়াশার দেখা মিলছে, সেই সঙ্গে শীতল বাতাসের অনুভূতিও পাওয়া যাচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে অক্টোবরের মাঝামাঝিতেই ঠান্ডার আগমন বার্তা দেখা দিয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তেরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বলেন, এখন যে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে এটাকে শীত বলা যাবে না। নভেম্বর মাসের মাঝামাঝিতে মূলত শীতের শুরু হবে।

দেশে এই সময়ে এমন তাপমাত্রা কমতে থাকে জানিয়ে মনোয়ার হোসেন বলেন, সাধারণত অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকেই উত্তরাঞ্চলের তাপমাত্রা এমন কমতে শুরু করে। কুয়াশার দেখা মেলে। দেশে শীতের শুরু ডিসেম্বর থেকে আর শেষ হয় ফেব্রুয়ারিতে। তবে নভেম্বরের মাঝামাঝিতে সারাদেশের তাপমাত্রা কমতে থাকবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণে অবস্থান করছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন