শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খাস পুকুরে স্থাপনা

খাস পুকুরে স্থাপনা

পটুয়াখালী কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিস সংলগ্ন খাস খতিয়ানভুক্ত শতবর্ষী পুকুর দখল করে চলছে একাধিক অবৈধ স্থাপনা নির্মান। এছাড়া মৎস্যবন্দরের ময়লা আর্বজনা পুকুরে ফেলায় এটি এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। এভাবে দখল, দূষণে পুকুরটি এখন প্রায় ভরাট হওয়ার পথে। ভূমি অফিসের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের ম্যানেজ করেই চলছে এ দখল-দূষন এমন অভিযোগ স্থানীয়দের।

মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ২৫-৩০ গজ দূরত্বে চলছে এমন দখল কার্যক্রম। এরপরও এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও ভূমি অফিস অদ্যবধি এ বিষয়ে দৃশ্যমান কোন পদক্ষেপ নেয়নি। শিববাড়ীয়া নদীতে শেখ রাসেল ব্রিজ নির্মানের সময় বাইপাস সড়ক তৈরিতে কিছু বালু পুকুরে পড়ে পুকুর ভরাট হয়। অপরদিকে মৎস্যবন্দরের বর্জ্য, গেরস্থালি বর্জ্য খাস পুকুরটিতে ফেলার কারনে পুকুরটি ক্রমশ: ভরাট হয়ে যাচ্ছে। আর ময়লা, আবর্জনা ফেলার কারনে দুর্গন্ধে মানুষ পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। মহিপুর বাজার পুকুর নামে বহুল পরিচিত শতবর্ষী এ পুকুরটি এখন প্রভাবশালীদের দখল-দূষনে পড়ায় অস্তিত্ব সংকটে পড়ছে পুকুরটি।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভূমি প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের অভাবে মহিপুর বাজারের এক মাত্র  খাস পুকুরটি এখন বেহাত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। মহিপুর মৎস্য বন্দরের জেলেরা ওই পুকুরের পানি গোসল সহ রান্নার কাজে ব্যবহার করতো। যা বর্তমানে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এমনকি পুকুরের পাশ দিয়ে নাক চেপে ধরে হাঁটতে হয় পথচারীদের। তবুও যেন দুর্গন্ধ পিছু ছাড়েনা তাদের।

মহিপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ডা. মো. খলিলুর রহমান বলেন, উপজেলা ভূমি প্রশাসন যদি এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নেয় আমরা বাজার সমিতির মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে দখল-দূষন রোধে পদক্ষেপ নেবো। কলাপাড়া ইউএনও শংকর চন্দ্র বৈদ্য বলেন, আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেবো।

Print Friendly, PDF & Email
আরও পড়ুনঃ  ঝালকাঠিতে করোনায় নতুন করে ৫ জনসহ মোট আক্রান্ত ৬৬৪

সংবাদটি শেয়ার করুন