শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজনীতি মাঠে

রাজনীতি মাঠে
  • দুর্ভিক্ষ হলে দায় শেখ হাসিনার: মির্জা ফখরুল
  • বিএনপিকে কারা টাকা পাঠায় খোঁজ পেয়েছি: কাদের

জাতীয় নির্বাচনের আরও বছর খানেকের বেশি বাকি। এর মধ্যেই রাজনীতির মাঠ সরগরম হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি দেশের অন্যতম রাজনৈতিক বিএনপি বিভাগীয় জনসমাবেশ করেছে। তাতে শোডাউন করার চেষ্টা থেকেছে। একইসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও দীর্ঘদিন পর রাজনীতির মাঠে শোডাউনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। গতকাল শনিবার উত্তরের জেলা রংপুরে বিভাগীয় গণসমাবেশ করেছে বিএনপি। একই দিনে ঢাকা জেলা শাখা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকায়। সেখানেও ব্যাপক শোডাউন দেখা গেছে।

রংপুর থেকে ব্যুরো প্রধান রেজাউল করিম জানান, গতকাল শনিবার বিকেলে রংপুরের ঐতিহাসিক কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে বিএনপি বিভাগীয় গণসমাবেশ করেছে। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, দেশে দুর্ভিক্ষ হলে এর দায় শেখ হাসিনা ও তার সরকারকেই নিতে হবে।

মহাসচিব বলেন, এর আগে ১৯৭৪ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলেও দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল। মানুষ খাবার খেতে না পেরে রাস্তায় পড়ে ছিল। এখন আবার সেই অবস্থা ফিরে এসেছে। ১০ টাকা কেজির চাল খাওয়াতে চেয়ে আওয়ামী লীগ এখন ৯০ টাকার চাল খাওয়াচ্ছে। চিনির দামও বেড়েছে। শাকসবজিও মানুষ কিনতে পারছে না। এটা দুর্ভিক্ষের লক্ষ্মণ। এসময় মহাসচিব বলেন, যে কোনো সময় সংসদ থেকে পদত্যাগ করতে প্রস্তুত বিএনপির সাংসদরা।

গণসমাবেশ নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, সমগ্র বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের অনেক মিডিয়া এই সমাবেশের দিকে তাকিয়ে আছে। সরকার নাকি জনগণকে ভয় পায় না। ভয় না পেলে গাড়ি কেন বন্ধ করতে হয়, কেন আমাদের নেতাদের গুলি করে মারে?

নিত্যপণ্য ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে দলের নেতা-কর্মীদের মৃত্যুর প্রতিবাদসহ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে দেশের সব বিভাগে গণসমাবেশ করছে বিএনপি। চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও খুলনার পর গতকাল রংপুরে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

দুপুর ২টায় বিভাগীয় গণসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে নির্ধারিত সময়ের সোয়া দুই ঘণ্টা আগে দুপুর পৌনে ১২টায় সমাবেশ শুরু হয়ে যায়। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী সরকার গত ১৫ বছরে সব শেষ করে ফেলেছে। সব ক্ষেত্রে চুরি করেছে আওয়ামী লীগ। এমনকি আশ্রয়ণ প্রকল্পেও চুরি করেছে। আমাদের ৬০০ নেতাকর্মীকে গুম করেছে এই সরকার। সহস্রাধিক মানুষকে হত্যা করেছে। আলেম-ওলামাদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে। এদের কি আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যায়?

সমাবেশস্থলে যুবদল নেতার মৃত্যু

গণসমাবেশে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান (৪৫)। বিকেল ৪টার দিকে সমাবেশস্থলে তিনি মারা যান। কাহারোল উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গণসমাবেশে যোগ দিতে সকালে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে মোস্তাফিজুর কাহারোল থেকে রংপুরে যান। এরপর ৪টার দিকে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছেন গোলাম মোস্তফা।

আরও পড়ুনঃ  বিজ্ঞানের শিক্ষক হৃদয় মণ্ডলের জামিন

চেয়ার আছে বেগম জিয়া নেই

ময়মনসিংহ ও খুলনার মতো রংপুরেও গণসমাবেশ মঞ্চে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জন্য ফাঁকা চেয়ার রাখা হয়। সভামঞ্চের ঠিক মাঝখানে রাখা সাদা কাপড়ে আবৃত চেয়ারে ‘সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া’ লেখা একটি পোস্টার লাগানো হয়। চেয়ারের দুই পাশে সমাবেশের প্রধান অতিথি, প্রধান বক্তা ও বিশেষ অতিথিসহ দলের শীর্ষ নেতাদেরও চেয়ার রাখা হয়।

পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত শেষে দোয়া মোনাজাতের মধ্য দিয়ে গণসমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ-উন-নবী ডন বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আমাদের প্রেরণার উৎস। তিনি সভামঞ্চে উপস্থিত না থাকলেও আমাদের সবার অন্তরে আছেন।

সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। গণসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু। সমাবেশ মঞ্চ ও মাঠের আশপাশসহ প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ১৩০টি মাইক টাঙানো হয়। মাঠের পাশাপাশি নেতাকর্মীরা আশপাশের বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নেন। দলীয় প্রতীক ধানের শীষ ছাড়াও ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন নিয়ে আসেন নেতা-কর্মীরা। তবে তীব্র রোদের কারণে অনেকে সড়কের পাশে ছায়ায় জড়ো হন।

মাঠে পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও রংপুরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সমর্থক ছাড়াও রাজশাহী বিভাগের বগুড়া, জয়পুরহাট, নওগাঁসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দলীয় লোকজনের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। যাদের বেশিরভাগই ভোর হওয়ার আগেই সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছেছেন।

লাঠি হাতে নেতা-কর্মীরা

সফল হোক, সফল হোক স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে রংপুর শহর। জেলা-উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে সমাবেশস্থলে আসেন নেতা-কর্মীরা। কারো হাতে বাঁশের লাঠি, কারো হাতে লাঠির সঙ্গে বাঁধা পতাকা। আবার কেউ ধানের শীষ  নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন।

রংপুর শহরের জাহাজ কোম্পানির মোড়, টার্মিনাল মোড়, মেডিকেল মোড়, চেকপোস্ট ও পায়রা ও শাপলা চত্বর মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। লাঠি হাতে সমাবেশে যাওয়া যুবদল কর্মী হিমেল বলেন, আমরা এ সরকারের পতনের জন্য রাজপথে নেমেছি। এ সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না। বাঁশের লাঠি দিয়েই প্রতিহত করা হবে। আরেক কর্মী রাশেদ হাসান বলেন, আমাদের মায়ের মুক্তি চাই। তত্বাবধায়ক সরকারর অধীনে নির্বাচন চাই। আমরা এ অবৈধ সরকার চাই না। তাকে পতন করেই রাজপথ ছাড়ব।

আরও পড়ুনঃ  বেড়েই চলেছে সরকারের ব্যাংক ঋণনির্ভরতা

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরপিএমপি) কমিশনার নুরে আলম মিনা বলেন, বিএনপির নেতা-কর্মীদের আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছি। সমাবেশ ঘিরে যাতে কোনো ধরনের সহিংসতা না ঘটে, সেজন্য কয়েক দফায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

জামায়াত-শিবিরের লোকজন

গণসমাবেশে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা অংশ নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিয়ার রহমান সাফি। বিএনপি তাদের জোটমিত্র জামায়াত-শিবিরকে সঙ্গে নিয়ে রংপুরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন। দুপুরে রংপুর মহানগরীর বেতপট্টিতে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ অভিযোগ করেন।

সাফিউর রহমান সাফি বলেন, বিএনপি রংপুরে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করুক আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা তাদের সহযোগিতা করবো। তারা ব্যানার ফেস্টুনের সঙ্গে লাঠি নিয়ে রংপুরে প্রবেশ করেছে। এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নওশাদ রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক রুবেল, দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম রাহেল, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বিভূতিভূষণ সরকার সুমন, কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শাহাজাদ আরমান, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুরাদ হোসেন, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সাফিউর রহমান স্বাধীনসহ দলটির স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নগরীর বেতপট্টিতে দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।

এদিকে সমাবেশকে ঘিরে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় এজন্য পুলিশের সতর্ক অবস্থান ছিল। নগরজুড়ে প্রায় দেড় সহস্রাধিক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। নেওয়া হয় চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এছাড়া ছিল সাদা পোশাকধারী পুলিশ, র‌্যাবের সদস্য ও বাড়তি গোয়েন্দা নজরদারি। সমাবেশস্থলের পাশেই মাসব্যাপী বাণিজ্যমেলা চলছে। সমাবেশের কারণে আজ বাণিজ্য মেলা বন্ধ রাখা হয়েছে।

ঢাকায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন

এদিকে, অনেকদিন ধরেই রাজনীতির মাঠে বড় আকারে কোনো কর্মসূচি ছিল না আওয়ামী লীগের। গতকাল শনিবার ঢাকা জেলা শাখা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বড় ধরনের শোডাউনের মধ্য দিয়ে রাজনীতির মাঠ আবার সরগরম হয়ে উঠেছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পুরনো বাণিজ্য মেলার মাঠে এ ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর সোয়া দুইটায় এ সম্মেলন শুরু হয়। দোহার, সাভার, ধামরাই, নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত ঢাকা জেলার সম্মেলনে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল টাকার বস্তার ওপর শুয়ে আছেন বলে মন্তব্য করে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ফখরুল এখন চাঙা হয়ে গেছেন। টাকা পাচ্ছেন তো। টাকারে টাকা! আরব আমিরাতের টাকা, দুবাইয়ের টাকা। এই তো এলো টাকা। ফখরুল মহাখুশি। টাকা পাইলেই তার দল খুশি। টাকা ওড়ে আকাশে, বাতাসে; টাকা ওড়ে পাড়ায়-মহল্লায়। আমরা খবর নিচ্ছি। কারা টাকা পাঠায়। খোঁজ পেয়েছি, ব্যবস্থা হবে।

আরও পড়ুনঃ  ডিমলায় বিএমএসএফ এর কমিটি গঠন

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘টাকার খেলা হবে না, খেলা হবে জনগণের। আন্দোলনে খেলা হবে, নির্বাচনে খেলা হবে। ভোট চুরির বিরুদ্ধে, ভোট জালিয়াতির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে খেলা হবে। যারা ১৭ কোটি মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলে তাদের বিরুদ্ধে খেলা হবে, প্রহসনের নির্বাচনের বিরুদ্ধে খেলা হবে।

এর আগে সকাল থেকে দেখা যায় রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ইউনিট থেকে নেতা কর্মীদের আগমনের চিত্র। দেখা যায়, বাস, ট্রাক ও পিকআপ সহ নানা রকম সজ্জিত মাধ্যমে সম্মেলন মাঠে আসার দৃশ্য। বাহারি রঙের পোশাকসহ নানা রকম স্লোগান দিতেও দেখা যায়। আরও দেখা যায়, আগত নেতা–কর্মীদের বেশির ভাগই আগে থেকে ঠিক করে দেওয়া সবুজ, হলুদসহ বিভিন্ন রঙের টি–শার্ট পরে এসেছেন। সম্মেলনে কোন উপজেলার নেতা–কর্মীরা কোথায় বসবেন, তা–ও আগেই ঠিক করে রাখা হয়। নেতা–কর্মীরাও সম্মেলনস্থলে এসে নির্ধারিত চেয়ারে বসেছেন। ঢোল বাজিয়ে, ব্যান্ড পার্টি নিয়ে অনেক ইউনিটের নেতা–কর্মীরা এতে অংশ নেন।

সম্মেলন শুরুর আগে দলীয় ও জাতীয় পতাকা, বেলুন উত্তোলন ও পায়রা উড়িয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় পরিবেশন করা হয় জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত। গানের তালে তালে নৃত্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সময় সম্মেলনে অংশ নেওয়া নেতাকর্মীরা দাঁড়িয়ে দেশের পতাকার প্রতি শ্রদ্ধা জানান। সম্মেলনের জন্য দলীয় প্রতীক নৌকার আদলে বড় আকৃতির মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিল।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমদ। সঞ্চালনা করেন সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। এর আগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়েছিল। ওই সম্মেলনে বেনজির আহমেদ সভাপতি এবং মাহবুবুর রহমান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

বিএনপি স্বাধীনতার আদর্শ গিলে ফেলেছে দাবি করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা ক্ষমতায় যেতে পারলে দেশসহ গিলে ফেলবে। সাবধান, বিএনপি থেকে সাবধান। বড় লোকদের বাড়ির সামনে লেখা থাকে ‘কুকুর থেকে সাবধান’। আমরা বলি, বিএনপি থেকে সাবধান।

সম্মেলন শেষে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে সভাপতি পদে কোনো পরিবর্তন আসেনি। বেনজির আহমেদই সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তবে পরিবর্তন এসেছে সাধারণ সম্পাদক পদে। পনিরুজ্জামান তরুণকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন