সীমান্তবর্তী জেলা কুড়িগ্রাম রয়েছে ছোট বড় মিলে ১৬টি নদ নদী। এর মধ্যে ধরলা নদীটি অন্যতম। বছরের জানুয়ারির দিকে ধরলায় পানি না থাকায় নিদারুন কষ্টে জীবন-যাপন করছে নদীর তীরবর্তী জেলে পরিবারগুলো। পানির অভাবে চলছে না নৌকা, জুটছে না মাছ। আর এ কারণেই খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছেন কুড়িগ্রামের জেলেরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুকনো মৌসুমে ধরলা নদীতে পানি থাকে না। এ কারণে জেগে উঠে ছোট বড় অনেকগুলো চর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আজ বুধবার (১ জানুয়ারি) পানি শূন্য ধরলা নদীর তীরে নৌকা বেঁধে রেখেছে জেলেরা।
ধরলা নদীর জেলে ওসমান জানান, নদীতে পানি না থাকায় জেলেরা মাছ পাচ্ছে না বললেই চলে। তবে মাছ পেলেও তা অতি সামান্য। আর এসব মাছ বিক্রি করে ১০০-১৫০ টাকা আয় হয়। এত সল্প আয় দিয়ে সংসারের ব্যয় মেটানো ও ছেলে মেয়েদের লেখা পড়ার খরচ বহন করা একেবারেই সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, এটি আমাদের পারিবারিক পেশা। ছোট থেকেই বাবা ও দাদার কাছ থেকে আমরা এ পেশা শিখেছি। আমরা এ পেশার উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল কারণ অন্য কোনো পেশা সম্পর্কে আমাদের অভিজ্ঞতা নেই।
জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, এখন শুকনো মৌসুম। আর এই মৌসুমে নদীতে পানি থাকে না। তবে বিআইডব্লিউটিএ’র একটি প্রজেক্ট নদীটিতে প্রক্রিয়াধীন অবস্থায় আছে। যদি এটি বাস্তবায়ন হয় তাহলে নদী খনন করা হবে। ফলে নদীর পানি ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
আনন্দবাজার/এস.কে