শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
তেলের দাম---------

পাইকারিতে কমলেও খুচরায় আগের দাম

পাইকারিতে কমলেও খুচরায় আগের দাম

আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের অব্যাহত দরপতনের কারণে দেশের পাইকারি বাজারেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মণ প্রতি পাম তেলের দাম কমেছে ১ হাজার টাকা এবং সয়াবিন তেলের দাম কমেছে মণে ৫০০ টাকা। পাইকারিতে কমলেও ভোক্তা পর্যায়ে এর পুরোপুরি সুফল মিলছে না।

এমনকি গত সোমবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১৪ টাকা কমানোর পরেও খুচরা বাজারে এর কোনো প্রভাব নাই। এখনো আগের দরে অর্থাৎ ১৯২ টাকায় প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে। খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে খাতুনগঞ্জে মণ প্রতি (৩৭.৩২ কেজি) পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৬০০ টাকায়। এছাড়া সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ৫ হাজার ৯০০ টাকায়।

খাতুনগঞ্জের তেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমাদের দেশে পাম তেল আসে মালয়েশিয়া এবং ইন্দোনেশিয়া থেকে। অপরদিকে সয়াবিন আসে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে। বর্তমানে দেশগুলোতে ফসল উৎপাদনের মৌসুম চলছে। যার কারণে পাম ও সয়াবিন তেলের সরবরাহও বেড়েছে। ফলে আন্তর্জাতিক বাজার কমছে। অন্যদিকে এবার ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়াতে এবার পাম তেলের রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া সয়াবিনের সরবরাহও বেড়েছে।

চাক্তাই খাতুনগঞ্জ আড়তদার সাধারণ ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে সয়াবিন তেলের আন্তর্জাতিক বাজার নিম্নমুখী। এর প্রভাবে পাইকারিতেও দাম কমছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি মণ পাম তেলের দাম কমেছে ১ হাজার টাকা এবং সয়াবিন তেলের দাম কমেছে মণে ৫০০ টাকা।

আরও পড়ুনঃ  বাংলাদেশ সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করতে পেরেছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

জানা গেছে, খাতুনগঞ্জের বাজারে পণ্য বেচাকেনা ও লেনদেনে যুগ যুগ ধরে কিছু প্রথা চালু আছে। নিজেদের সুবিধার অনেক প্রথা আছে যেগুলো আবার আইনগতভাবেও স্বীকৃত নয়। এরমধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডেলিভারি অর্ডার (ডিও) স্লিপ। তেল কিংবা অন্য কোনো পণ্য কেনাবেচায় ডিও বেচাকেনার মাধ্যমে বিভিন্ন আগাম লেনদেন হচ্ছে। দেখা যায়, পণ্য হাতে না পেলেও ওই ওই স্লিপটিই বেচাকেনা হচ্ছে।

কোনো কোম্পানি বাজার থেকে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্যের ডিও কিনে নেয়। যে দরে ডিও কেনা হয়, তার বাজার দর যদি বেড়ে যায়, তখন পণ্যটি ডেলিভারি দিতে তারা গড়িমসি করে। আবার দেখা যায়, কোম্পানির পণ্যই আসেনি কিন্তু ডিও কিনে রেখেছেন অনেক বেশি। এর ফলেও কোম্পানি বাজারে পণ্য ডেলিভারি দিতে পারে না। ফলে এসব পণ্যের দামও নিয়ন্ত্রণে থাকে না।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন