শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুকুর-ঘেরে রাস্তা বিলীন

পুকুর-ঘেরে রাস্তা বিলীন
  • সরকারি রাস্তাটি ১০ ফুট হলেও আছে মাত্র ২ ফুট

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের চারিপাড়া বাজার থেকে হাঁসের খোলা হয়ে মুরাদনগর উপজেলার চৌহদ্দি বাজার পর্যন্ত সড়কটি  অস্তিত্বের সংকটে পড়েছে। সড়কের দুই পাশে ছোট বড় পুকুরসহ বড় আকারের পানকৌড়ি মৎস্য প্রজেক্ট ও রূপচাঁদা মৎস্য প্রজেক্ট এর মাছ চাষের ফলে ধীরে ধীরে সড়কটি বিলীন হয়ে যাচ্ছে।

চারিপাড়া বাজার থেকে ১০০ মিটার সড়ক ৩-৪ ফিট প্রশস্ত থাকলেও এর মধ্যে রয়েছে বড় বড় একাধিক গর্ত। বৃষ্টি এলেই খানাখন্দ আর কাদা মাটিতে একাকার হয়ে যায়। একটু সামনে গেলেই দেখা যায় একসময়ের ১০ ফুট প্রশস্ত এ সড়কটি এখন মাত্র ২ ফুট প্রশস্ততায় এসে দাঁড়িয়েছে। যে কোন মুহূর্তেই বৃদ্ধ ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে মাছের পুকুর ও প্রজেক্টে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। ২ কিলোমিটারের এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন পাঁচ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। সড়কটির সিংহভাগই অস্তিত্ব সংকটে।

স্থানীয়রা জানায়, চারিপাড়া বাজার থেকে মুরাদনগর উপজেলার বাজার পর্যন্ত আগে  গাড়িযোগে যেতে পারলেও এখন তা কল্পনাতে ও আনা যায় না। এ গ্রামের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া ও কৃষিপণ্য বাজারজাত করতে এটিই একমাত্র সড়ক। অস্তিত্ব সংকটে থাকা এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলে যেতে হচ্ছে। অনেক সময় বৃদ্ধ ও অসুস্থ রোগি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হওয়া যায় না। বৃষ্টি হলে এ গ্রামের মানুষ সন্ধ্যার আগেই বাড়ি ফিরে আসে। এতে দূর দূরান্তের কাজ সম্পাদন না করেই বাড়ি ফিরতে হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় দূরের লোকজন এ গ্রামে আত্মীয়তা করতে চায় না। পুরাতন আত্মীয়রাও যোগাযোগ ব্যবস্থার অজুহাতে এ গ্রামে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে আসতে অনিহা প্রকাশ করে। পুকুর মালিকরা যখন মাটি কেটে ভরাট করে তখন বৃষ্টির মৌসুম শুরু হয়। বৃষ্টির পানির সঙ্গেই মাটি পুকুরে চলে যায়, কাজের কাজ কিছুই হয়না।

Print Friendly, PDF & Email
আরও পড়ুনঃ  স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে -প্রধানমন্ত্রী

সংবাদটি শেয়ার করুন