শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভারতের এখনও হামাগুড়ি

ভারতের এখনও হামাগুড়ি

মহামারির ধাক্কা কাটাতে পারেনি ৮০ শতাংশ

  • ধনীদের ছুঁইতেই পারেনি, কাবু গরীবরা

আলোকে পরাজিত করে অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল এ ধরা। মানুষকে চার দেয়ালের ভিতরে বন্দী হতে হয়েছিল মাসের পর মাস, দেখতে হয়েছিল মৃত্যুর মিছিল। তবে ধীরে ধীরে কমে যায় করোনা মহামারির প্রভাব। আবিষ্কার হয় টিকা; নিয়ন্ত্রণ আসে প্রযুক্তির হাতে। কিন্তু ঘাতক এ মহামারির আঘাতের দাগ এখনো শুকায় নি। অনেকেই এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি ধাক্কা। করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় ভারত লকডাউন শুরুর পর ২০২০ সালে তিন মাসে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) সংকোচন হয় প্রায় ২৪ শতাংশ; যা দেশটির ইতিহাসে নজিরবিহীন। মহামারির সেই ধাক্কা এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেনি ভারত। 

সাম্প্রতি এক গবেষণায় এমনটিই উঠে এসেছে। জাতিসংঘ, বিশ্ব ব্যাংক আগে থেকেই বলছিল করোনাকালে ধনীরা আরও ধনী হয়েছেন। আর গরিবের দৈন্যদশা বেড়েছে। সমাজের বড় অংশ নতুন করে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে গেছে। সেই একই ছবি উঠে এল আরও এক সমীক্ষায়।

ইউবিএস সিকিউরিটিজ ইন্ডিয়া তাদের এক রিপোর্টে জানিয়েছে, ভারতে জনসংখ্যার মাত্র ২০ শতাংশ কেনাকাটা করছেন। সে জন্য খরচ করছেন দু’হাত ভরে। তাদের জন্যই চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু বাকি ৮০ শতাংশ মানুষ এখনও মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেননি। ঘুরে দাঁড়ানোয় চেষ্টায় এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

ইউবিএস-এর ওই রিপোর্টে তাদের প্রধান অর্থনীতিবিদ দাবি করেছেন, করোনা দেশের ধনী ভোক্তাদের আয়ের ওপরে কোনো প্রভাবই ফেলেনি, সেটা পরিষ্কার। কারণ সব চেয়ে বিত্তবান ২০ শতাংশ মানুষ বেশিরভাগ কেনাকাটা করছেন। এর মধ্যে ৬৬ শতাংশ শহরের এবং ৫৯ শতাংশ গ্রামাঞ্চলের।

আরও পড়ুনঃ  সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ: হাইকোর্ট

আগস্টে ইউবিএস একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল আয় বেশি এমন মানুষদের ওপর। অংশগ্রহণকারীদের অর্ধেকের বেশি সোনা অথবা গহনা কিনেছেন। ৫৫ শতাংশ সম্পত্তিতে লগ্নি করার এবং আগামী দু’বছরের মধ্যে গাড়ি বা মোটরসাইকেল কেনার পরিকল্পনা করছেন। ৫০ শতাংশ শুধু সম্পত্তিই কিনতে চান। অর্থাৎ আগামী দিনেও সমাজের এই অংশের হাত ধরেই বাড়বে চাহিদা। অংশগ্রহণকারী ৭০ শতাংশের বেশি মানুষের ধারণা, আগামী বছর তাদের আয় বাড়বে। 

সমীক্ষার বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, করোনা অসংগঠিত অর্থনীতির ভাগ কেড়ে নিয়ে সংগঠিত অংশের বাজার বাড়িয়ে দিয়েছে। এর ফলেই বিত্তবান মানুষ খাবারদাবার, মুদি, স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং বিনোদনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডের পণ্যে খরচ বাড়িয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন