শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ই-নামজারি এখন ক্যাশলেস

ই-নামজারি এখন ক্যাশলেস

ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

ভূমি অফিসে ই-নামজারির ক্ষেত্রে এখন আর নগদ টাকা দিতে হবে না। এখন থেকে এই সেবা নিতে হলে বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইন লেনদেন করতে হবে। গতকাল রবিবার ভূমি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নামজারির ডিসিআর ফি ১১০০ টাকা অনলাইনে প্রদান বাধ্যতামূলক। রবিবার থেকে ভূমি অফিসে ই-নামজারির কোনো ফি নগদে গ্রহণ করা হবে না।

ভূমি অফিসগুলোতে দুর্নীতি ও হয়রানি কমাতে অনেক দিন ধরেই এই সেবাগুলো ক্যাশলেস করার কাজ করছে সরকার। সে ক্ষেত্রে আগামী বছরের মধ্যেই কর আদায়ের পুরো পদ্ধতি অনলাইনে নিয়ে আসার কাজও চলছে।

ভূমি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, আগামী বছরের শুরু থেকে ভূমি অফিসগুলোতে আর নগদ টাকা লেনদেন হবে না। এরই মধ্যে রাজধানী ঢাকা গত ফেব্রুয়ারি থেকে সব জমির কর আদায় করা হচ্ছে অনলাইনে। তবে এটি এতদিন বাধ্যতামূলক ছিল না। এখন পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশেই ই নামজারির ফি অনলাইনে জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করা হলো।

যাদের জমি রয়েছে, বাড়ি বা ফ্ল্যাটের মালিকানার অংশ হিসেবে জমি পেয়েছেন, তাদের সবার জন্য ভূমি কর দেয়া বাধ্যতামূলক। প্রতিবছর সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে ভূমি কর জমা দিয়ে রসিদ নিতে হয়। এই সেবা পেতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয় সেবাপ্রার্থীদের। অনলাইনে ফি বাধ্যতামূলক হওয়ায় তাদের এ ভোগান্তি অনেকটাই কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

যেভাবে পাওয়া যাবে রসিদ

ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জন্য বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রণালয় একটি অ্যাপ তৈরি করেছে। অনলাইনে এ সেবা পেতে প্রথমে সেবাপ্রার্থীকে এই অ্যাপের সঙ্গে নিজেকে নিবন্ধন করতে হবে। ওয়েবসাইট ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের কল সেন্টারের মাধ্যমেও এ নিবন্ধন করা যায়।

আরও পড়ুনঃ  এশিয়া এনার্জিকে দেশ থেকে বহিস্কারের দাবি

প্রথমত, ওয়েবসাইট Land.gov.bd অথবা ldtax.gov.bd-তে প্রবেশ করে জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম তারিখ ও মোবাইল ফোন নম্বর দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কল সেন্টার ৩৩৩ অথবা ১৬১২২ নম্বরে ফোন করে জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্ম তারিখ, ফোন নম্বর ও জমির তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করা যাবে। এ ছাড়া যেকোনো ইউনিয়ন ডিজিটাল অফিসে এনআইডি কার্ড, জন্ম তারিখ ও খতিয়ান নম্বর ব্যবহার করেও নিবন্ধন করা যাবে।

নিবন্ধনের পর এই পোর্টালে লগইন করে অথবা ইউনিয়ন ডিজিটাল অফিসে গিয়ে ভূমির উন্নয়ন কর দিতে পারবেন। এই সময় বিকাশ বা নগদের মতো মোবাইল ওয়ালেট ব্যবহার করে কর পরিশোধ করা যাবে। কর দেয়ার পর ই-মেইলে অটোমেটিক একটি জমার রসিদ চলে আসবে। এটিই ভূমি উন্নয়ন করের রসিদ, যা পরবর্তী প্রয়োজনের জন্য সংরক্ষণ করা যাবে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন