শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অনুমোদনহীন বহুতল ভবনে ঝুঁকি

অনুমোদনহীন বহুতল ভবনে ঝুঁকি

পৌর এলাকাতে ফাটল ধরা ভবন অপসরণ না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি নিয়ম বর্হিভূতভাবে আর কোনো ভবন করতে দেওয়া হবে না: রেজাউল কবীর চৌধুরী, মেয়র, নজিপুর পৌরসভা

নওগাঁর পত্নীতলার অনুমোদন ছাড়াই বহুতল ভবন নির্মাণের অভিযোগ অনেক পুরানো। ভবন নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী, পরিকল্পনাবীহিন বহুতল নির্মানের ফলে জনসাধারণের যাতাযাত ও জনজীবন ঝুঁকিতে রয়েছে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয় সচেতন সমাজ। পৌরসভার অনুমোদন ছাড়া কিভাবে বহুতল ভবন নির্মাণ হয় তা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এমন অনুমোদনহীন বহুতল ভবন নির্মাণ ও রাস্তার জন্য নিদিষ্ট পরিমাণ জায়গা না রেখে ভবন নির্মাণ নিয়ে নজিপুর পৌরসভায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেণ স্থানীয় বাসিন্দারা।

নজিপুর পৌরসভার বাসিন্দা আব্দুল কাদের আবুল কালাম, রকিব, আলী মরতুজা জানান, পৌরসভার অনুমতি ছাড়া শহরে কীভাবে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ হয় তা আমার বোধগম্য নয়। আজ পৌরসভার অবহেলার কারণে নজিপুরের মতো শহরে পৌরসভার নকশা ও ইঞ্জিনিয়ারের পরিকল্পনাবিহীন বাসা তৈরি হচ্ছে। কেউ রাস্তার জন্য ছাড়তেছে ১ ফিট, কেউ ছাড়তেছে ২ থেকে আড়াই ফিট, কেউ আবার নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে তৈরি করছে বহুতল ভবন। যার ফলে আমাদের বাসাগুলো পর্যন্ত ঝুঁকিতে রয়েছে। সব সময় স্ত্রী-সন্তান, বাবা- মা, ভাই-বোনদের নিয়ে আতঙ্কে বসবাস করি, কখন যে বিল্ডিং ভেঙে পড়ে। ভবন তৈরির সময় বিভিন্ন ধরণের অনিয়ম দেখে আমরা পৌরসভা বরাবর লিখিত দিই কিন্তু কোন কাজের কাজ হয়না। মেয়র বা তার কোন প্রতিনিধি এসে ঘোড়াবুঝ দিয়ে চলে যায়।

আরও পড়ুনঃ  সংসদ সচিবালয়ের ৯১ জন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত

স্থানীরা আরও বলেন, আমাদের সমাজ ব্যবস্থাটা দিন দিন খারাপের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। যেহেতু আমরা পৌরসভার অধীনে বসবাস করি সেহেতু আমরা পৌরসভার নিয়মনীতি মানতে বাধ্য।

এবিষয়ে নজিপুর পৌর মেয়র রেজাউল কবীর চৌধুরী বলেন, পৃথিবীর জন্মলগ্ন থেকেই আমাদের সমাজে কিছু খারাপ ব্যক্তি বসবাস করে আসতেছে যা এখনো আছে। এদের কে যতই বুঝান কিন্তু কোনো লাভ হবেনা। আগে যা হবার হয়েছে এখন আর নিয়ম বর্হিভূতভাবে কোনো ভবন করতে দেওয়া হবেনা। যদি কেউ করতে চায় তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, ইতোমধ্যে ভবন হয়ে গেছে কিন্তু সেই ভবনে ফাঁটল ধরছে, যার ফলে আশে পাশের লোকজন ঝুঁকিতে আছে তাদের নিরাপত্তার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যেসব ভবন ফাটলের ফলে বসবাসের অযোগ্য সেসব ভবন মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে দ্রুত ভবন অপসরণের জন্য। নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি তারা ফাটল ধরা ভবনগুলো অপসরণ না করে তাহলে আমরা পৌরসভার পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

সংবাদটি শেয়ার করুন