শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরের ইলিশের সুখবর

চাঁদপুরের ইলিশের সুখবর
  • ভরে গেছে চাঁদপুরের ঘাট, কমেছে দাম

দক্ষিণাঞ্চলের বৃহৎ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ ঘাটে বেড়েছে ইলিশের সরবরাহ। ঘাটে আসছে দুই থেকে তিন হাজার মণ ইলিশ। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে ইলিশের দাম কমেছে ১৫০-২০০ টাকা। তবে ক্রেতাদের দাবি মৌসুমের তুলনায় দাম এখনো আশানুরূপ কমেনি। আর আড়তদাররা বলছেন, ঘাটে ইলিশের সরবরাহ এমন থাকলে নদীতে অভয়াশ্রম শুরুর আগে দাম আরও কিছুটা কমতে পারে।

গতকাল শুক্রবার সকালে ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় ঘাটে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। যেখানে গত এক সপ্তাহ আগেও শ্রমিকরা অলস সময় কাটিয়েছেন সেখানে তারা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।

বর্তমানে ৫০০ গ্রাম থেকে ৭০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা, ৮০০ গ্রাম থেকে সাড়ে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার থেকে ১১শ টাকা ও ১ কেজি ওজনের ইলিশ ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা, ১২০০ গ্রাম থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ ১৬০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে তুলনায় দেড়শ থেকে ২০০ টাকা কম।

ঘাটে ইলিশ কিনতে আসা মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘গত সপ্তাহে যে ইলিশ ৮০০ টাকা দিয়ে কিনেছি আজকে তা কিনলাম ৬০০ টাকায়। আমার কাছে মনে হলো কিছুটা কমে মাছ কিনতে পেরেছি আজকে।’

আজাদ খান, রবিনসহ বেশ কয়েকজন ক্রেতা জানান, ইলিশের দাম কমলেও মৌসুমের তুলনায় এখনো কিছুটা বেশি। দাম আরও কম হওয়ার প্রয়োজন ছিল। তাহলে সাধারণ ক্রেতাদের ইলিশ কিনতে সুবিধা হতো।

আরও পড়ুনঃ  নরসিংদীতে শিশুদের ফুল-পাখিদের কোলাহল

আগস্ট-সেপ্টেম্বর মাসকে বলা হয় ইলিশের ভরা মৌসুম। কিন্তু চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছঘাটে চাহিদা অনুযায়ী ছিল না ইলিশের সরবরাহ। এতে দাম ছিল সাধারণ ক্রেতাদের নাগালের বাহির। তবে মৌসুমের শেষ সময়ে গত তিন-চার দিন ধরে গড়ে ২-৩ হাজার মণ ইলিশ আসছে ঘাটে। যদিও ঘাটে আসা এসব ইলিশের অধিকাংশই ভোলা, সন্দ্বীপ ও হাতিয়া থেকে আসা বলে জানান আড়তদাররা।

চাঁদপুর বড় স্টেশন মাছ ঘাটের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নবীর হোসেন ও ইকবাল হোসেন বলেন, ‘ঘাটে এখন মোটামুটি লোকাল (পদ্মা-মেঘনা নদী) ইলিশের আমদানি বেড়েছে। তবে ঘাটের অধিকাংশ ইলিশ ভোলা, সন্দ্বীপ ও হাতিয়া থেকে আসা। তবে সরবরাহ বাড়ায় ইলিশের দাম কিছুটা কমেছে।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক বলেন, গত কয়েকদিন যাবত ঘাটে ইলিশের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। আমি মনে করি দাম এখন সাধারণ ক্রেতাদের নাগালে আছে। তবে ইলিশের প্রজনন মৌসুমের নিষেধাজ্ঞা শুরুর আগ পর্যন্ত ইলিশের সরবরাহ এমন থাকলে দাম আরও কিছুটা কমতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন