বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দুর্যোগ ভরসা মুজিব কিল্লা

দুর্যোগ ভরসা মুজিব কিল্লা

জলোচ্ছাসে রক্ষা পেলো চরের শত শত মহিষ

উপকূল দিয়ে বয়ে যাওয়া কয়েক দিনের বৃষ্টি ও জলোচ্ছাস থেকে রক্ষা পেয়েছে ভোলার কয়েকটি চরের শত শত মহিষ। বিগত সময়ে ঝড় জলোচ্ছাসে অনেক মহিষই ভেসে জেতো পানির তোড়ে। এবার চরের মহিষগুলো আশ্রয় নিয়েছে চরে গড়ে উঠা দৃষ্টিনন্দন আধুনিক কিল্লায়। এ ধরনের আধুনিক কিল্লা দেশের মধ্যে ভোলায়ই প্রথম।

মহিষ বাথানিয়া রিয়াজ ও শরিক জানান, বিগত সময়ে মাটি দিয়ে উঁচু করে তৈরি করা মাটির কিল্লার চারপাশে সুপারি গাছ দিয়ে গোলকবৃত্তের মধ্যে মহিষ রাতে বেধে রাখতো। তখন পানিতেই ভেসে থাকতো মহিষ। অনেক সময় পানির স্রোতে ভেসে যেত তাদের লাখ লাখ টাকার মহিষ। অপরিচ্ছন্ন এবং অসাস্থ্যকর পরিবেশে থাকতো মহিষগুলো। বর্তমানে বেশ কয়েকটি চরে আধুনিক ও স্বাস্থ্যসম্মত কিল্লা নির্মিত হওয়ায় এবার তাদের কোনো কষ্ট হয়নি। পুরো জোয়ারের মধ্যে মহিষগুলো আধুনিক কিল্লায় উঠিয়ে রাখা হয়। প্রতিটি কিল্লায় আশ্রয় নিয়েছে প্রায় পাঁচ শতাধিক মহিষ।

মহিষ বাথানিয়া রেজাউল, বাশার মাঝি ও ইব্রাহীম জানান, মহিষের সঙ্গে তাদেরও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে কিল্লায়। রয়েছে সুপেয় পানি ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা। অন্যদিকে লাগানো হয়েছে বজ্র নিরোধকযন্ত্র। যে কারণে আমাদের এবং মহিষের চরে থাকায় কোনো অসুবিধা হচ্ছেনা। চরের মধ্যে এমন দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা আগে কখনই দেখেনি বাথানিরা। তারা আরও জানান, কিল্লার সুযোগ পাওয়ার পাশাপাশি পশুসুরক্ষায় তারা নিয়মিত চিকিৎসা সেবাও পাচ্ছেন বিনামূল্যে।

পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের এসইপি প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা ভোলার ভেদুরিয়ার চর চটকিমারা, ভেলুমিয়া ইউনিয়নের চর চন্দ্র প্রসাদ ও চরমুন্সিতে মোট তিনটি আধুনিক কিল্লা নির্মাণ করেছে। যা ভোলাতেই প্রথম বলে জানান, গ্রামীন জন উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিরচালক জাকির হোসেন মহিন। গুরুত্ব বিবেচনায় আরও কিল্লা নির্মাণ করা হবে বলে জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ  আরও ৫০ জনের মৃত্যু, নতুন শনাক্ত ১৯১৮

গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থার এসইপি প্রকল্পের প্রজেক্ট ম্যানেজার ডা. তরুণ কুমার পাল জানান, কেবল মহিষ ও মহিষ বাথানিয়াদের কথা চিন্তাকরে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে বিনামূল্যে মহিষের চিকিৎসাসেবা। এছাড়াও আশ-পাশের জেলেরাও দুর্যোপূর্ণ অবস্থায় আশ্রয় নিতে পারবে কিল্লায়।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন