মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আত্রাইয়ের বালুদস্যুদের থাবা

আত্রাইয়ের বালুদস্যুদের থাবা
  • রাজস্ব কাঁকি দিয়ে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলন
  • ইজারাবর্হিভূত জায়গা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি

নওগাঁর মহাদেবপুরে আত্রাই নদীর উজান থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। এতে সরকার রাজস্ব হারানোর পাশাপাশি প্রকৃত ইজারাদার খতিগ্রস্ত হচ্ছেন। অবৈধ এ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ও নওগাঁ জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন প্রকৃত ইজারাদার আশিক চৌধুরী শাহিন।

জানা যায়, ১৪২৯ সনের আত্রাই নদীর ভাটি অংশের বালুমহালটি ৭১,৯০,৫০০ (আয়কর ও ভ্যাটসহ ৮৯,৮৮,১২৫) টাকায় ইজারা গ্রহণ করেন বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে আশিক চৌধুরী শাহিন। নদীর উজান অংশ নদী খননের কারণে ১৪২৯ সনের জন্য বালুমহালটির ডাক বন্ধ রয়েছে। তবে পূর্বের ইজারা গ্রহিতা মেসার্স হ্যাপি ট্রেডার্স এর প্রো. মহাদেবপুর সদরের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মোয়াজ্জেম হাজীসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ইজারাবর্হিভুত জায়গা মহিষবাথান থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে কম দামে বিক্রয় করছেন। এতে ইজারাগ্রহীতার বালু বিক্রি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় লোকসানের মুখে পড়েছেন।

এ নিয়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর বিভাগীয় কমিশনার রাজশাহী ও নওগাঁ জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আশিক চৌধুরী শাহিন। অভিযোগে তিনি বলেন, ইজারাবর্হিভূত জায়গা থেকে মেশিন দিয়ে প্রকাশ্যে দিন ও রাতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে তার ইজারাকৃত বালুমহাল থেকে বালু বিক্রি বন্ধ হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ না করলে তার ইজারার টাকা উঠবে না। কাজেই ইজারাবর্হিভূত জায়গা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ করার আবেদন করেছেন। যদি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা না হয় তাহলে তার ইজারাকৃত টাকা ফেরত দেওয়ার জন্যও আবেদন করেছেন।

আরও পড়ুনঃ  গোখাদ্য-হাটের শঙ্কায় খামারিরা

এব্যাপারে পূর্বের ইজারা গ্রহীতা মেসার্স হ্যাপি ট্রেডার্স এর প্রো. মোয়াজ্জেম হাজী বলেন, আমি দীর্ঘদিনের একজন বালু ব্যবসায়ী। আমি কোনো সময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করিনি। আমি মহাদেবপুরে থাকি আত্রাই নদীর বালু মহাল ছিলো একটি। তবে, গত বছর থেকে জেলা প্রশাসক মহাদেবপুর দুইটি ভাগে ভাগ করেছে। একটি ভাটা অংশ এবং অপরদিকে উজান অংশ। তিনি মহাদেবপুর উজানের অংশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের খনন কাজের জন্য ইজারা বন্ধ রয়েছে। এছাড়া মহিষবাতান বালু মহালের পয়েন্ট থেকে আমার সকল সরঞ্জামাদি নিয়ে এসেছি। আগে যে বালু উঠানো ছিল সেগুলো এখন বিক্রয় করছি।

নওগাঁ জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান জানান, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করার দাবিতে লিখিত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি সমাধানের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন