শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সীমান্তে ফের উত্তেজনা

সীমান্তে ফের উত্তেজনা
  • দুদিন বন্ধ থাকার পর প্রচণ্ড গোলাগুলি

বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ফের উত্তেজনা শুরু হয়েছে। দুদিন বন্ধের পর গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে থেমে থেমে ভারী অস্ত্রের বিকট শব্দ ভেসে আসছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সীমান্তের ওপারে দুইদিন ফায়ারিং বন্ধ ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ ভেসে আসছে। তবে সীমান্তের আকাশে এখনো কোনো হেলিকপ্টার বা যুদ্ধবিমান উড়তে দেখা যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা ছৈয়দ আলম জানান, গত ৩ আগস্ট সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখেছিলেন তারা। ওইদিন বাইশপারি সীমান্তে দুটি মর্টারসেলও পড়েছিল। তবে, এরপর দুইদিন বন্ধ থাকার ফলে সীমান্তের মানুষ কিছুটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছিল। এখন আবারও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে মানুষের মাঝে। তুমব্রু সীমান্তের একাধিক বাসিন্দা বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ফের সকাল থেকে ভারী গুলি করা হচ্ছে। গুলির বিকট শব্দে এখানকার মানুষ ভয়ভীতিতে রয়েছে।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার (এসপি) তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, সীমান্তে ফের গোলাগুলির খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে ভয়ভীতির কোনো কারণ নেই। আমরা সীমান্তে সর্তক অবস্থানে রয়েছি।

গত প্রায় এক মাস ধরে সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত ২৮ আগস্টের পর পর দুটি মর্টারসেল এসে পড়েছিল সীমান্তের তুমব্রু উত্তরপাড়া এলাকায়। এরপর গত ৩ সেপ্টেম্বর সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে ৪০ ও ৪১ নম্বর সীমান্ত চৌকির মধ্যে মিয়ানমার থেকে দুটি মর্টার শেল বাংলাদেশের সীমান্তে এসে পড়ে। ওইদিনে, মিয়ানমারের অন্তত চারটি যুদ্ধবিমান বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উপর দিয়ে বাংলাদেশের আকাশসীমা অতিক্রম করেছে।

আরও পড়ুনঃ  শিশু বিয়েতে শীর্ষে চাঁপাই

বাংলাদেশে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে গত ৪ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মিয়ানমার উইংয়ের মহাপরিচালক মিয়া মইনুল কবিরের সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়। বৈঠকে রাষ্ট্রদূতকে বলা হয়, এধরনের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের শান্তিকামী জনগণের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সীমান্ত চুক্তি লঙ্ঘন এবং সুপ্রতিবেশী সম্পর্কের পরিপন্থী। রাখাইন থেকে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের বাসিন্দাদের কোনো অনুপ্রবেশ যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করতেও বলা হয় রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে।

সংবাদটি শেয়ার করুন