ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ডাকাবর এলাকা হয়ে উপজেলার প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সরকারী বাসভবনের সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে ধানশাইল ইউনিয়নের চাপাঝোড়া এলাকায় প্রবেশ করেছে সাহাতি ঝোড়া (পানি প্রবাহের নালা)। ঝিনাইগাতী সদর এলাকায় এ ঝোড়ার ওপর তৈরি কাঠের সেতুটি জরাজীর্ণ ও ইস্পাতের সেতুটিও মরিচা ধরে ভেঙে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দীর্ঘদিনেও সংস্কার হয়নি ইস্পাতের সেতুটি । বর্তমানে জোড়াতালি দেয়া কাঠের নড়েবড়ে সেতুতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, উপজেলার সদর এলাকার সাহাতি ঝোড়ার উত্তরপ্রান্তে ত্রিশ থেকে চল্লিশটি পরিবার বসবাস করেন। তাদের চলাচলের সুবিধার্থে প্রায় পাঁচ বছর আগে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে মোল্লাপাড়া সড়ক হয়ে এ ঝোড়ার ওপর একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের দীর্ঘদিন হওয়ায় সেতুটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ে। অপরদিকে গত চার বছর আগে ঝিনাইগাতী-রাংটিয়া সড়ক হতে উপজেলা প্রাণী সম্পদ ও শহীদ মিনার হয়ে এ ঝোড়ার ওপর ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমেই একটি ইস্পাতের সেতু নির্মাণ করা হয়। কিন্ত নিম্নমানের ইস্পাত ব্যবহার করায় মাত্র দুই বছরেই মরিচা ধরে সেতুটি ভেঙে পড়ে ।
সরেজমিন দেখা গেছে, প্রায় ৩০ ফুট দৈর্ঘ্যের কাঠের সেতুটি নড়েবড়ে ও জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতুর কাঠগুলো পঁচে গেছে। স্থানীয়রা বাঁশের খুঁটি দিয়ে জোড়াতালির মাধ্যমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতুতে চলাচল করছেন। অপরদিকে ইস্পাতের সেতুর পশ্চিমপ্রান্ত ভেঙে খালে পড়ে রয়েছে।
ঝিনাইগাতী মহিলা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মনোয়ারা বলেন, নড়েবড়ে ও জরাজীর্ণ কাঠের সেতুটি দিয়ে যাতায়াত করতে ভয় লাগে। ইস্পাতের সেতুটি ভেঙে ওইখানে নতুন একটি সেতু করলে আমাদের কলেজে যেতে সুবিধা হতো। স্থানীয় বাসিন্দা মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের খেয়াল কেউ রাখে না। অনেক চাওয়ার পর একটি কাঠের সেতু ও একটি ইস্পাতের সেতু নির্মাণ করে দিয়েছিল সরকার। সেতু দুটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। নতুন করে এখানে একটি সেতু নির্মাণ করে দেয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাহিদুল হক মনির বলেন, অনেক দিন ধরে ওই পরিবারগুলো চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এখানে একটি সেতু নিমার্ণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি ।
ঝিনাইগাতী উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক বলেন, সম্ভবত এ সড়কটির আইডি নম্বর নেই, আইডি নম্বর থাকলে ওইখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো যেত। তবে সমস্যাটি সমাধানের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলবেন ।
ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ বলেন, খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।