শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবহেলিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারী শ্রমিকরা

অবহেলিত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর নারী শ্রমিকরা

নওগাঁর মহাদেবপুরে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে জীবনযাত্রার ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সম্প্রদায়। দেশের বাজারে সব কিছুর দাম বাড়লেও বাড়েনি ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর নারী কৃষি শ্রমিকদের মজুরি। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অধিকাংশ পরিবারের নারীরা মাঠে কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করে সংসার চালান। মজুরি না বাড়ায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন স্বল্প আয়ের এসব নারী শ্রমিকরা।

একটি সূত্র জানায়, এ উপজেলায় প্রায় ৫হাজার ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর নারী কৃষি শ্রমিক রয়েছেন। এদের অনেকেরই সংসার চলে ক্ষেত খামারে কৃষি কাজ করে। চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দামসহ শিক্ষাখাতে ব্যয় অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এসব নারী শ্রমিকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মজুরি বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একজন পুরুষ শ্রমিকের একদিনের মজুরি যেখানে ৪শ থেকে ৫শ টাকা সেখানে একজন নারী শ্রমিককে দেয়া হয় মাত্র ২শ’ টাকা। রোববার দুপুরে সাড়াশন মাঠে ধানের চারা রোপণ তারী ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর নারী শ্রমিক রঞ্জনা পাহান জানান, রোপা আমন ধান লাগানো, নিড়ানো ও কাটার সময় নারী শ্রমিকের চাহিদা বাড়ে। কিন্তু মজুরী বাড়েনা। ৫ বছর আগেও ২শ টাকা দিন মজুরী ছিল এখনও তাই রয়েছে। কিন্তু এখন ১ কেজি চালের দাম ৬০ টাকা, এই বাজারে ২শ টাকা দিন মজুরী দিয়ে কিভাবে একটি সংসার চলে? একই সময়ে নাটশাল মাঠে পুরুষ শ্রমিকদের পাশাপাশি আউশ ধান কেটে মাথায় করে নিয়ে আসতে দেখা যায় কয়েকজন ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠীর নারী শ্রমিককে।

আরও পড়ুনঃ  নারীবান্ধব কর্মপরিবেশ কবে

তারা জানান, ধান কাটা, মাথায় করে বহন করাসহ সব কাজ সমানভাবে করলেও মজুরির বেলায় তারা পান অর্ধেক মজুরি। ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর নেতা ও আদিবাসী উন্নয়ন কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক দিপঙ্কর লাকড়া বলেন, পুরুষের সমান কাজ করেও নারী কৃষি শ্রমিকের মজুরি বৈষম্য ঠিক নয়। তিনি একজন নারী কৃষি শ্রমিকের মজুরী নুন্যতম ৪শ টাকা নির্ধারণের দাবী জানান।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন