শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফের তেলের দামে পতন

ফের তেলের দামে পতন

উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে আনার সিদ্ধান্তেই কমলো দাম

ওপেক প্লাস (জ্বালানি তেল উৎপাদন ও রপ্তানিকারী দেশসমূহের জোট) দৈনিক তেল উৎপাদনে নিয়ন্ত্রণ আনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর থেকে বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়েই চলছে। ফলস্বরুপ গতকাল শুক্রবার প্রতি ব্যারেল ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম বেড়েছে ৭৩ সেন্ট, যা শতকরা হিসেবে দশমিক ৭৩ শতাংশ। আর ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট তেলের দাম বেড়েছে ৭৮ সেন্ট বা দশমিক ৮৪ শতাংশ।

অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের এই দুই বেঞ্চমার্কের দাম বৃদ্ধির ফলে গতকাল বিশ্ববাজারে প্রতি ব্যারেল জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ১ ডলারের বেশি। রয়টার্স বলছে, চলতি সপ্তাহের এই শেষ পর্যায়ে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ৩ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান ইস্যুতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় দেশটি থেকে বিশ্ববাজারে আগের মতো তেল আসছে না। এতে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন দেশ তেল কেনা কমিয়ে দিয়েছিল, ফলে একদিকে যেমন তেলের বাজারে পতন দেখা দিয়েছিল, অন্যদিকে বৈশ্বিক মন্দারও সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়।

সম্ভাব্য মন্দাভাব কাটাতে এখন ইরানকে গুরুত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। পরমাণু চুক্তি বিষয়ক জটিলতা ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থাকায় ওপেকের অন্যতম সদস্য ও মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ ইরানের তেল বিশ্ববাজারে আসতে পারছে না।

তবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে ইরানের নতুন একটি পরমাণু চুক্তি স্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলছে। যদি সেই চুক্তি স্বাক্ষর ও কার্যকর হয়, সেক্ষেত্রে দেশটির তেলের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে ।

আরও পড়ুনঃ  যানবাহনের ৮০ ভাগ ভাড়া বাড়ানোর সুপারিশ

অন্যদিকে গতকাল শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যুক্তরাজ্যে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য ৮০ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে যুক্তরাজ্যে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির ফলে আসন্ন মাসগুলোতে মূল্যস্ফীতি ১৩ শতাংশে পৌঁছাতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন