শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অবৈধ ড্রেজারে গ্রামীণ সড়কে ধস

অবৈধ ড্রেজারে গ্রামীণ সড়কে ধস

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের উমপাড়ায় ড্রেজার ব্যবসায়ীর ভরাট বাণিজ্যে গ্রামীণ রাস্তা ভেঙে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। ওই এলাকার মামুনের ধানের চাতাল থেকে হাওলাদার পাড়া প্রায় ৩ কিমি. কাঁচা রাস্তার গদার পাড়া নামক স্থানে প্রায় আড়াইশ ফুট রাস্তা ড্রেজারের পানির তোড়ে ভেঙে গেছে।

রাজধানী ঢাকার ব্যবসায়ী নূরুল ইসলাম হাজীর একটি জমি ভরাটের ঠিকাদারি নেয় ড্রেজার ব্যবসায়ী মো. মফিজ। জায়গাটি ভরাট কাজে রাস্তার ওপর দিয়ে ড্রেজার পাইপের সংযোগের ফলে রাস্তার মাটি ধসে পাশের ডোবায় গিয়ে পড়ে। এতে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়ে এলাকাবাসী।    

সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগের কাঁচা রাস্তাটির হাওলাদার পাড়ার সামনে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরে গদার পাড়ায় একটি জমিভরাট কাজ চলছে। এ কাজে অবৈধভাবে রাস্তার ওপর দিয়ে ড্রেজার পাইপের সংযোগ দেওয়া ফলে রাস্তায় মোটরসাইকেল ও অটোরিক্সাসহ অন্যান্য যান চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে ড্রেজারের পানির তোড়ে ২৫০ ফুট রাস্তার পুরোটাই ভেঙে পাশের ডোবায় চলে গেছে। এতে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীসহ পথচারীরা চলাফেরায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

এ বিষয়ে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজুল ইসলাম লিটন, সাধারণ সম্পাদক পাভেল রহমান বাবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহিন ও শাহারিয়ার হাসান ওয়াহিদসহ অনেকেই বলেন, জমিভরাট কাজে সংযোগকৃত ড্রেজারের পানির চাপে সরকারি কাঁচা রাস্তার এ অংশটা ভেঙে পড়েছে। এলাকার ২৪শ’ পরিবারের প্রায় ৫ হাজার মানুষের চলা ফেরায় দুর্ভোগের সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তার ওপর দিয়ে ড্রেজারের পাইপ সংযোগ দেওয়ায় কোনো যান চলাচল সম্ভব হচ্ছেনা। এতে করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের পায়ে হেঁটে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করতে হচ্ছে। ড্রেজার ব্যবসায়ী মফিজ ও লিটনের এমন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করছে এলাকাবাসী।

আরও পড়ুনঃ  প্রায়োগিক গবেষণাতে জোর দিন

স্থানীয় ইউপি সদস্য আরিফুল ইসলাম লিটনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে মফিজকে বলেছি রাস্তার ভাঙা স্থানে বালু দিতে আর স্থানীয় জনগণকে বলেছি বেড়ার খরচ দিতে। অবৈধ ড্রেজার বাণিজ্যের ফলে সরকারি রাস্তার ক্ষতি হলো জনগণ কেন বেড়ার খরচ দিবে এমন প্রশ্নে জবাবে তিনি এলোমেলো কথা বলেন। জমির মালিককে তিনি চিনেন না বলে এড়িয়ে যান। ড্রেজার ব্যবসায়ী মো. মফিজের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি দম্ভ করে বলেন, আমরা জনগণকে বলেছিলাম রাস্তায় বেড়া দিতে। তারা বেড়া দেয়নি এ কারণে ড্রেজারের পানির চাপে রাস্তা ভেঙে গেছে। এটা আমার বিষয় না।

ভরাটকৃত জমির মালিক নুর ইসলাম হাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঢাকায় থাকি। ড্রেজার ব্যবসায় মফিজকে মাটি ভরাট কাজে ঠিকা দিয়েছি। রাস্তা ভাঙ্গার বিষয়ে মফিজ আমাকে কিছু জানায়নি।

এ ব্যাপারে ষোলঘর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহশিলদার মো. শাহিন জানান, বিষয়টি আমার জানাছিল না। এখনই খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন