- প্রশাসনকে কাছে পেয়ে মাটি কাটতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা
অবশেষে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার তারাপাশা আলতাব আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের রাস্তা দখলমুক্ত করেছে উপজেলা প্রশাসন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীর মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার দৈনিক আনন্দবাজারে সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার। তিনি বুধবার বিষয়টি দেখার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. রুহুল আমিনকে নির্দেশ দেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার তারাপাশা গ্রামে আলতাব আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একমাত্র রাস্তার দু’ পাশের খাল ভরাট ও আংশিক জায়গা দীর্ঘদিন ধরে দখল করে রাখে গ্রামের একটি প্রভাবশালী মহল। যে কারণে বৃষ্টি হলে রাস্তায় পানি জমাট বেধে থাকে। এতে গর্ত সৃষ্টি হয়ে কাদা-মর্দনায় থাকায় জনসাধারণের চলাচলে রাস্তাটি অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তাছাড়া ওই রাস্তা মেরামতে সরকারি বরাদ্দ আসলেও বাধা প্রদান করে আসছিল মহলটি। ফলে রাস্তায় সংস্কার কাজ না করেই বরাদ্দ ফিরে যায়। তাছাড়া রাস্তায় পানি ও কাদা-মর্দনা থাকায় বিদ্যালয়ে আসা বন্ধ করে দেয় অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে বিদ্যালয়ে শিক্ষক ও গ্রামবাসীর মধ্যে চরম দুর্ভোগ দেখা দেয়। রাস্তায় পানি থাকায় শিক্ষকদের ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে কষ্ট হয়।
এ বিষয়ে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও কোনো সমাধান মিলেনি। দৈনিক আনন্দবাজারের হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ও স্থানীয় দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচারের প্রধান প্রতিবেদককে জানান, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দিলোয়ার হোসাইন। এ বিষয়ে গত সোমবার দৈনিক হবিগঞ্জ সমাচার ও মঙ্গলবার দৈনিক আনন্দবাজারে একটি সরেজমিন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। বিষয়টি বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহুয়া শারমিন ফাতেমার নজরে আসলে তিনি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিনকে বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দেন। এ প্রেক্ষিতে রুহুল আমিন বুধবার দুপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছলে বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দ উচ্ছ্বাস দেখা দেয়। এ সময় প্রশাসনের সহযোগিতায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নিজ হাতে কোদাল নিয়ে মাটি কাটতে শুরু করে। এক পর্যায়ে বাহুবল থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের লোকজন রাস্তার খাল উদ্ধার ও দু’ পাশের আংশিক জায়গা মাটি কেটে দখলমুক্ত করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রুহুল আমিন জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নির্দেশ দিলে তিনি খাল ও রাস্তার জায়গা দখলমুক্ত করেন। প্রশাসনের লোকজনকে কাছে পেয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নিজেরাই মাটি কেটে সহযোগিতা করে।
