শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কেঁচো সারে ঝুঁকছেন চাষিরা

কেঁচো সারে ঝুঁকছেন চাষিরা

মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নে কালাই সরদারের চর গ্রামের প্রায় ৪৫ থেকে ৫০টি কৃষক পরিবার কেঁচো সার উৎপাদন করছে। নিজেদের গৃহপালিত গবাদি পশুর গোবর দিয়ে জৈব সার তৈরী করে নিজেদের জমিতে প্রয়োগ করে করে ভালো ফসল উৎপাদনের পাশাপাশি অতিরিক্ত জৈব সার বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন তারা।

স্থানীয় কৃষক নূরুল ইসলাম বেপারী জানান, আমরা নিজেদের গৃহপালিত গবাদি পশুর  গোবর  ফেলে দিতাম। কালকিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে ও সহযোগিতায় ফেলে দেয়া গোবর দিয়ে এ জৈব সার তৈরী করে নিজেদের জমিতে প্রয়োগ করে ভালো ফসল উৎপাদনের করছি। অতিরিক্ত জৈব সার কৃষকদের কাছে ১২ টাকা কেজি বিক্রি করে আর্থিকভাবে বাড়তি আয় হচ্ছে বলের জানান তিনি।

কৃষক সালাউদ্দিন ফকির বলেন, আমি পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন থেকে এ জৈব সার কিনতে এসেছি। এ সার দামে যেমন স্বস্তা তেমনি ফসলও উৎপাদন হয় বেশি। এ সার প্রয়োগ করলে জমিতে রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হয় না। জমির স্বাস্থ্য ও মাটির গুণাগুণ ভালো থাকে ফলে জমিতে কম খরচে অধিক ফসল উৎপাদন হয় এ কারণে আমরা জমিতে নিয়োমিত এ জৈবসার ব্যবহার করে থাকি।

কালকিনি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিল্টন বিশ্বাস বলছেন, ভার্মি কম্পোষ্টে গাছের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কয়েকটি এনজাইম ও হরমোন আছে যা গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এ জৈবসার পরিবেশ বান্ধব এ সার মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ জৈব সার মাটির পানি ধারণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ কারণে প্রতিনিয়ত কৃষকদের কেঁচো সার ব্যবহার করার জন্য উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
আরও পড়ুনঃ  রাণীশংকৈলে ঐতিহাসিক শালবন রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন

সংবাদটি শেয়ার করুন