শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে ফ্রি সেচ সুবিধা

ঠাকুরগাঁওয়ে ফ্রি সেচ সুবিধা
  • ৮১ কোটি টাকার জ্বালানি সাশ্রয়

ঠাকুরগাঁওয়ে খরিফ-২ (আমন) মৌসুমে প্রয়োজনীয় পরিমাণ বৃষ্টি না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় সময় পার করছিল কৃষকেরা। তবে সে দুশ্চিন্তা থেকে কৃষকদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য আমন ধানের জমিতে সম্পূরক সেচের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠাকুরগাঁও জেলা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেওয়া তথ্যমতে, চলতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাস্তবায়িত ভুল্লি বাঁধ সেচ প্রকল্পের ৮শ’ হেক্টর, টাংগন বাঁধ সেচ প্রকল্পের  ৪৪৫০ হেক্টর, বুড়ি বাঁধ সেচ প্রকল্পের ১৭২০ হেক্টরজমিসহ জেলার সকল সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে ১১ হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমিতে সম্পূরক সেচ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে ১১,৬৬৫ হেক্টর জমিতে ৫৮,২৭৫ মেট্রিক টন ধান উৎপন্ন হবে, যার মুল্য ১১৫ কোটি টাকা। এতে আনুমানিক ৮১ কোটি টাকার জ্বালানি সাশ্রয় হবে। জেলা অফিসের আওতায় ৮৯টি কৃষক পানি ব্যবস্থাপনা দল রয়েছে। এতে ভূল্লী বাঁধ সেচ প্রকল্পের ১০০০ জন, টাংগন বাঁধ ৬০০০ জন ও বুড়ি বাঁধ সেচ প্রকল্পে ২০০০ জন কৃষক সুবিধা পাচ্ছেন।

আমন ধানের জমিতে সম্পূরক সেচে কৃষিতে আশার আলো দেখছেন কৃষকেরা। স্বপ্ন দেখছেন ভালো ফসল ও চড়া দামের। বুড়ি বাঁধ সেচ প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগী কৃষক দয়াল রায় বলেন, যে পরিমাণ বৃষ্টির প্রয়োজন সেটি পাওয়া যাচ্ছেনা খরার কারণে। তবে সম্পূরক সেচের মাধ্যমে আমন জমিতে পানি দেওয়ায় হতাশা দূর হয়েছে। ভালো ফসল হবে আশা করছি।

ভূল্লী বাঁধ সেচ প্রকল্পের সভাপতি আসাদুজ্জামান বলেন, আমাদের বাঁধের আওতায় এক হাজার কৃষক সম্পূরক সেচ পাচ্ছেন। আমরা আমন ধান নিয়ে অনেক বেশী দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম। আর এবারে যখন বৃষ্টি হওয়া দরকার তখন আমরা বৃষ্টি পায়নি। তবে সম্পূরক সেচের মাধ্যমে আমিসহ আমাদের এখানকার কৃষকেরা অনেক উপকৃত হচ্ছেন। আর কৃষিতে প্রাণ ফিরে পেয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  ঢাকায় ৭১ ও চট্টগ্রামে ৫৫ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি

জেলার টাংগন, বুড়ি ও ভুল্লি বাঁধ সেচ প্রকল্পের পুর্নবাসন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক  প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান বলেন, আমন জমিতে সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষকেরা দারুণ ভাবে লাভবান হচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করছি কৃষকদের পাশে থাকার। সম্পূরক সেচের মাধ্যমে বড় অঙ্কের একটি জ্বালানি সাশ্রয় হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠাকুরগাঁওয়ের উপ-প্রধান সম্প্রসারণ অফিসার রফিউল বারী বলেন, আমরা সবসময় কৃষকদের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। খরা মোকাবেলায় আমরা আমন ধানের জমিতে সম্পূরক সেচের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমরা মনে করছি এর মাধ্যমে কৃষকেরা কৃষিতে স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন