শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বগুড়ায় সারের বিপুল মজুদ

বগুড়ায় সারের বিপুল মজুদ
  • জব্দ ১৫ হাজার বস্তা, নষ্ট ৫ হাজার

বগুড়া সদরের একটি গুদামে অবৈধভাবে মজুত করা প্রায় ১৫ হাজার বস্তা রাসায়নিক সার জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে অনন্ত পাঁচ হাজার বস্তা সার নষ্ট হয়ে গেছে। এ ঘটনায় সিলগালা করা হয়েছে ওই গুদাম। সদরের এরুলিয়া বাজার এলাকায় রোববার রাত ১১টার দিকে এক অভিযান চালানো হয়। প্রায় সোয়া ১২টা পর্যন্ত এ অভিযান চলে। এ সময় গুদামে থাকা দুটি ট্রাকও জব্দ করা হয়েছে।

গুদামে রাখা সারের মালিকের নাম নাজমুল পারভেজ কনক। তবে অভিযানের সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন না। শহরের বড়গোলা এলাকায় ফ্রেন্ডস ট্রেডার্স নামে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ররয়ছে। গুদামটির মালিক নাজমুল পারভেজের বাবা। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমর কুমার পাল। অভিযানে সার জব্দের বিষয়টি তিনি নিশ্চিত করেন।

ইউএনও জানান, এরুলিয়া বাজারে অবৈধভাবে সার মজুত রয়েছে এমন গোপন সংবাদ ছিল। এ তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। গুদাম এলে ঘর ভর্তি সরকারি রাসায়নিক সার পাওয়া যায়। তবে, এই সার সদরের কোনো ডিলারের নয়। গুদামের সামনে প্রতিষ্ঠানের কোনো সাইনবোর্ড নেই। 

বগুড়া সদরে অন্তত ২২ জনের নামে সারের ডিলারশিপ রয়েছে। এর মধ্যে নাজমুল পারভেজের নাম নেই। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ডিলারের নিদিষ্ট গুদাম এলাকার বাহিরে কেউ ইচ্ছে করলে এ বিপুল পরিমান সার মজুত করতে পারবেন না।

রাতে ইউএন ও সমর কুমার আরও জানান, অভিযানে ১২ থেকে ১৫ হাজার বস্তা সার পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউরিয়া ও ডিএপি সার। সকালে গণনা করলে সঠিক হিসাব পাওয়া যাবে। এ ছাড়া আরও ৫ থেকে ৭ হাজার বস্তা নষ্ট সার রয়েছে গুদামে। এ ছাড়া একটি সার ভর্তি ট্রাক ও একটি খালি ট্রাক জব্দ করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  ৬ লাখ টনে নেমেছে সরকারি খাদ্য মজুত

ইউএনও বলেন, নষ্ট সার দেখে ধারনা করা হচ্ছে এখানে নকল সার উৎপাদন করা হতো। সারের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে, কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য গুদাম সিলগালা করা হয়েছে। একই সঙ্গে দুটি ট্রাক জব্দ করেছি।

গুদামের নিরাপত্তা প্রহরীর দায়িত্বে রয়েছেন মজিবর রহমান। গত ২ বছর ধরে তিনি এখানে চাকরি করছেন। মজিবর জানান, আগে কখনও সার দেখেনি। গত এক মাস আগে গুদামে সার মজুত করা হয়েছে।

অভিযানে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরুল ইসলাম, এরুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান, ইউপি সদস্য নুর আলম ও আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত সারগুলো গুদামেই ছিল। এ ব্যাপারে মামলা না করে কৃষকের কাছে সরাসরি বিক্রির ব্যাপারে আইনি প্রক্রিয়া খোঁজা হচ্ছিল। ইউএনও সমর কুমার জানান, প্রচলিত আইনে মামলা করলে হয়তো সারগুলো নষ্ট হয়ে যেতে পারে তাই কৃষকের কাছে সারগুলো বিক্রির প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন