- আড়াই লাগে বিক্রি অর্থকোটির গাছ
দৈনিক আনন্দবাজারে সংবাদ প্রকাশের পর মাদারীপুরের কালকিনিতে আড়াই লাখ টাকায় ১১৭টি গাছ বিক্রির কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন। গত ৪ আগষ্ট কালকিনিতে এলজিইডি’র অর্ধ কোটির গাছ আড়াই লাখে বিক্রি শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ দৈনিক আনন্দবাজারসহ বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও ইলেক্ট্রনিক গণমাদধ্যমে। এনিয়ে মাদারীপুর জেলার সর্বত্র তোলপাড় শুরু হয়। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
এ বিষয়ে গাছ নিলাম কমিটির সভাপতি ও কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিংকি সাহা মুঠোফোনে দৈনিক আনন্দবাজার কে জানান, বিষয়টি আমাদের নজরে আসলে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গাছ বিক্রয়ের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করি এবং আগামী ৭ আগষ্ট টেন্ডার কমিটির সংশ্লিষ্টদের নিয়ে তদন্ত করে দেখবো। কোনো অনিয়ম হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার চরদৌলত খান ইউনিয়নের শিকদারের মার্কেট থেকে চরফতে বাহাদুর উচ্চ বিদ্যালয় এলাকা পর্যন্ত এলজিইডি’র সড়ক সম্প্রসারণ করার প্রয়োজনে গত ১৩ জুলাই তারিখে কালকিনি উপজেলা ভূমি অফিস থেকে উপজেলা মালামাল/গাছ নিলাম কমিটি এ সড়কটির গাছ বিক্রয়ের নিলাম বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়। চরদৌলত খান ইউনিয়নের এ সড়কটিতে নিলাম বিজ্ঞপ্তির আগে উপজেলা বন কর্মকর্তা ও উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী ১১৭ টি গাছের দাম গড়ে ২ হাজার ২’শ ১৩ টাকা করে ২ লাখ ৫৮ হাজার ৯শ ৮০ টাকা নির্ধারণ করেন। পরে গত ২৪ জুলাই নিলাম কমিটি গাছ নিলাম তুললে মাতুল মাতুব্বর নামের এক ঠিকাদার ওই টাকার বিপরীতে গাছ অপসারণের দায়িত্ব পায়। কিস্তু ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছর বয়সী এসব গাছের এত কম দামে বিক্রি নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়।