বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কৃষিতে সম্ভাবনাময় কেঁচো কম্পোস্ট

  • স্বল্প খরচে প্রাকৃতিক উপায়ে উৎপাদিত কেঁচো সার অর্থনীতিতে অবদান রাখছে
  • সরকারি/বেসরকারি সহযোগিতা চান স্থানীয় কৃষকরা
  • কৃষিজমির উবর্রতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে কেঁচো সার

আধুনিক কৃষিতে কেঁচো কম্পোস্ট সার উৎপাদনে এ যেন এক নতুন সম্ভাবনা। সাতক্ষীরায় কেঁচো সার চাষ করে অনেক ব্যক্তির ভাগ্যের পরিরর্তন হয়ে। এতে রাসানিক সারের ব্যবহার কমিয়ে প্রাকৃতিক সার ব্যবহারে সুফল পাচ্ছে কৃষক। প্রাথমিক ভাবে এসব কৃষকের মনে বিরুপ ধারনা থাকলেও তা কেটে গেছে নিমেশে। এখন তারা নিজেরা স্বচ্ছল হয়ে আর্থনীতে অবদান রাখছেন। 

উপজেলা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, গত অর্থবছরে তালার ৪০ জন খামারিকে নিয়ে ভার্মি কম্পোস্ট সারের প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছে। এছাড়া উপজেলায় প্রায় ১২০০ ছোট বড় ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনকারী রয়েছেন, যারা উপজেলার চাহিদা পূরণ করে বাইরেও এই সার বিক্রি করছেন।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে এই উপজেলার আব্দুল মালেক প্রায় ১০ বছর আগে সল্প পরিসরে প্রাকৃতিক জৈব সার উৎপাদনের সুচনা করেন। বর্তমানে এসব খামার থেকে প্রতিমাসে প্রায় কয়েকশ টন কেঁচো কম্পোস্ট সার উৎপাদন হয়। এই উৎপাদিত সার চলে যাচ্ছে দেশ বিভিন্ন প্রান্তে।

ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদনকারী মোড়ল আব্দুল মালেক জানান, আমি ২০১৩-১৪ সালের থেকে ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন করছি।  আমার খামারে প্রতি মাসে প্রায় ১০ টন সার উৎপাদন হয়। এই সার ব্যবহার করে একদিকে যেমন কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন, পাশাপাশি স্বাবলম্বী হচ্ছে আমার মত খামারিরা।

তালার আরেকজন ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনকারী আব্দুল আজিজ বিশ্বাস জানান, ২০১৮ সালে একটি এনজিও’র মাধ্যমে  সর্বপ্রথম আমি ও আমার স্ত্রী সালমা বেগম কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করি। তখন আমাদের অনেক অভাব ছিল। জৈব সার উৎপাদন ও বিক্রি করে আমাদের বর্তমানে স্বচ্ছলতা ফিরে এসেছে।

আরও পড়ুনঃ  পেঁয়াজ বীজেই কোটিপতি সাহিদা

তিনি আরও জানান, বর্তমানে আমার খামার থেকে প্রতি দেড় মাসে প্রায় ১৫ টন ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলে যায় এ উৎপাদিত সার। দিন যতো যাচ্ছে ভার্মি কম্পোস্টের চাহিদাও তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি বা বেসরকারি সহযোগিতা পেলে আমার মতো খামারিরা ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন করে সাফল্য অর্জন করতে পারবে।

তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজিরা খাতুন জানান, ভার্মি কম্পোস্ট জৈব সারের এক নতুন সম্ভাবনার নাম। গোবর থেকে কেঁচোর মাধ্যমে উৎপাদিত এই সার কৃষি জমির উবর্রতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। কৃষকরা ভার্মি কম্পোস্ট সার ব্যবহার ও উৎপাদনে উৎসাহী হচ্ছেন।  কৃষি অফিস থেকে আমরা তাদের সার্বিক সহায়তা দিয়ে আসছি।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন