নওগাঁর সাপাহার উপজেলার প্রাণকেন্দ্র জিরো পয়েন্ট জামে মসজিদের পিছনে সড়কের এক পাশে জমে উঠেছে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। এ সব বর্জ্য ময়লার দুর্গন্ধে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসীসহ পথচারীরা। ময়লা-আবর্জনার চরম দুর্গন্ধে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ।
সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলার জিরোপয়েন্ট মসজিদের পিছন দিয়ে স্থানীয় মাস্টার পাড়ায় চলাচল করার জন্য একটি লোকাল সড়ক রয়েছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন প্রায় সহস্রাধিক মানুষসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আশপাশে অসংখ্য বসতবাড়িসহ রয়েছে শিক্ষার্থী নিবাস। তবে, রাস্তার পাশে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে ময়লা-আবর্জনার স্তুপের কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে বর্জ্যগুলো পচে চরম দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। যাতে করে আবর্জনার দুর্গন্ধে রাস্তা দিয়ে লোকজনকে নাকে রুমাল বা কাপড়ে চেপে চলাচল করতে হচ্ছে। এছাড়াও এ ময়লার স্তুপে পানি জমে থাকার কারণে প্রচুর হারে মশা জন্মাচ্ছে। যা স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবেশের জন্য হুমকি স্বরূপ। শুধু তাই নয়, এ ময়লার স্তুপের পাশে স্থানীয় কিছু অসাধু লোকজন রাতের অন্ধকারে প্রসাব-পায়খানা পর্যন্ত করে বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। উপজেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র বৃহৎ এ মাস্টারপাড়া এলাকায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন বসবাস করেন। তবে বেশিরভাগ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক। সেই সুবাদে এ পাড়ায় বিভিন্ন এলাকা থেকে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা প্রাইভেট পড়ার জন্য আসে। অনেক শিক্ষার্থী দুর্গন্ধের কারণে অন্যকোন রাস্তা দিয়ে আসা যাওয়া করে বলে জানা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এ জায়গায় ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। বৃষ্টি হলে দুর্গন্ধে বেহাল অবস্থা হয়ে যায়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় দোকানদাররা তাদের পরিত্যক্ত পলিথিন, রুটির প্যাকেট, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য এখানে ফেলে রাখে। শুধু তাই নয়, স্থানীয় কিছু বাসিন্দা বাড়ি ঝাড়ু দেওয়া ময়লা-আবর্জনা, খাবারের উচ্ছিষ্ট অংশ এখানে ফেলে। যার কারণে দুর্গন্ধটা একটু বেশি ছড়াচ্ছে। আপনারা কেন প্রতিবাদ করেন না? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গা। জায়গার মালিক যদি কিছু না বলেন তাহলে আমরা কি করতে পারি!
মাস্টারপাড়ায় প্রাইভেট পড়তে আসা কলেজ ছাত্র সাকিব বলেন, এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন প্রাইভেট পড়তে যাই। কিন্তু ময়লার স্তুপের কাছে এসে দুর্গন্ধে বমি আসার উপক্রম হয়। বিষয়টি নিয়ে সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাদেকুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি। অনতিবিলম্বে ময়লার স্তুপ অপসারন করে জায়গাটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হোক। বর্জ্য সরিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য ফিরিয়ে এনে জনদুর্ভোগ লাঘব করা হোক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় সরকারের কাছে এমনটাই দাবী সচেতন মহলের।