শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কলকারখানার বর্জ্যে সয়লাব-

দূষণে বিষময় সুতিয়া

দূষণে বিষময় সুতিয়া
  • শ্রীপুরের প্রাকৃতিক জলাশয়ে জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে
  • কারখানার বর্জ্যে সুতিয়ায় দূষণ বাড়ছে
  • আইনশৃঙ্খলা সভায় নদী দূষণ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা
  • মাসে প্রায় ৮০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ আদায়

কলকারখানার দূষিত বর্জ্যে শ্রীপুরের প্রাকৃতিক জলাশয়গুলোর মাছসহ অন্যান্য জলজ প্রাণী মারা যাচ্ছে। সুতিয়া নদী অনেকটা নিরাপদ ছিল। এ নদীতেও অতি সম্প্রতি কল-কারখানার দূষণ দেখা দিয়েছে। শ্রীপুর উপজেলা মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এসব তথ্য উপস্থাপন করেন শ্রীপুর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল্লাহ। গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের ক্ষণিকা সভাকক্ষে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মৎস্য কর্মকর্তা তাঁর বক্তব্য আরো বলেন, এলাকার মানুষের কাছ থেকে দূষণের খবর পেয়ে সুতিয়া নদী বেষ্টিত এলাকায় অনুসন্ধান করে দূষণের সত্যতা পান তিনি। পানির পাইপ এবং মাটির নিচে ড্রেন ব্যবহার করে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা ও সিডস্টোর এলাকার কল-কারখানার বর্জ্য উপজেলার ত্রিমোহনী দিয়ে সুতিয়া নদীতে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

গাজীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নয়ন মিয়া জানান, কারখানাগুলোর ইটিপি ব্যবহার নিশ্চিতের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। যারা ইটিপি ব্যবহার করেন না চিহ্নিত করে এমন কারখানা মালিকদের কাছ থেকে প্রতি মাসে প্রায় ৮০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা হচ্ছে।

মাওনা চৌরাস্তার বাসিন্দা সংবাদকর্মী জামাল উদ্দিন বলেন, অনিবন্ধিত ক্লিনিকগুলো মাওনা চৌরাস্তা এলাকায় এখনো তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনিক নির্দেশে বন্ধ থাকার পরও আবার চালু হওয়া এসব ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান তিনি।

আরও পড়ুনঃ  সূচকের ওঠানামায় চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

ওই সংবাদকর্মীর প্রশ্নের উত্তরে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রণয় ভূষণ দাস বলেন, মাওনা চৌরাস্তায় সড়কের পাশে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ২৫ থেকে ৩০টি ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিক রয়েছে। কিছু ক্লিনিকের অবস্থান বহুতল ভবনের তৃতীয় তলায়ও দেখা গেছে। অনিবন্ধিত ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ কার্যক্রম চালানোর সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেলে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা নিবন্ধন নবায়ন করেনি তাদেরকে তিন মাস সময় দেওয়া হয়েছে।

শ্রীপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও দি ডেইলী স্টারের সাংবাদিক সহকারী অধ্যাপক আবু বকর সিদ্দিক আকন্দ তাঁর বক্তৃতায় যানজট ও দুর্ঘটনা নিরসনে ব্যাটারী চালিত ইজিবাইকসহ অনিবন্ধিত যানবাহন নিয়ন্ত্রণের পরার্মশ দেন। এজন্য শ্রীপুরসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বাজার সমূহে ট্রাফিক খুঁঁটির সাহায্যে সড়কগুলোতে আলাদা লেন নির্ধারণের দাবী জানান।

শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া বলেন, অতি সম্প্রতি পরিসংখ্যান জরিপের তথ্যমতে শ্রীপুর উপজেলায় আট লাখের বেশি মানুষ বসবাস করছে। সে তুলনায় শ্রীপুর থানায় পুলিশ সদস্য রয়েছেন দেড়’শ। ট্রাফিক খুঁঁটির সাহায্যে সড়কগুলোতে আলাদা লেন করে দেওয়া হবে। ফুটপাত দখলমুক্ত করতে সকলের ভূমিকা পালনের অনুরোধ করেন।

শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উজ্জল কুমার হালদারের সভাপতিত্বে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শামসুল আলম প্রধান, বক্তব্য দেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহতাব উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রহমান, শ্রীপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও দি ডেইলী স্টারের সাংবাদিক সহকারী অধ্যাপক আবু বকর সিদ্দিক আকন্দ সো।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন