- আমদানি থেকে বেরুতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
শুধু ভোজ্যতেল আমদানি করতেই বছরে দুই থেকে আড়াই বিলিয়ন ডলার বছরে খরচ হয়। যার টাকায় পরিমাণ হচ্ছে ২৩ হাজার কোটি টাকা (এক ডলারের মূল্য ৯২ টাকা ধরে)! এ বিশাল খরচ বন্ধ করা সম্ভব দেশের কৃষিকে ব্যবহার করে। ইতোমধ্যে এ উদ্যোগ নেয়ার শুরু হয়েছে। সম্প্রতি রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এমন তথ্য তুলে ধরে বলেন, আগে সরিষা দিয়েই তেলের চাহিদা মিটতো। তেলজাতীয় পণ্য আমদানি করে আমরা কত টাকা খরচ করি! অনেকে বিশ্বাসই করবে না। আমাদের এটা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
ভোজ্যতেলের দাম বিশ্ব বাজারে বেড়েছে। বিশ্ব বাজারে দাম বাড়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই দেশের বাজারে এ প্রভাব পড়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে ১৩ লাখ ৫৫ হাজার টন পাম তেল এবং ৭ লাখ ৮০ হাজার টন সয়াবিন আমদানি হয়েছিল। পাম ও সয়াবিন তেল মোট ২১ লাখ ৩৫ হাজার টন ভোজ্য তেল আমদানি করা হয়েছিল। যার পেছনে ব্যয় হয়েছিল ১৮৪ কোটি ৭৯ লাখ ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৬ হাজার কোটি টাকা। তথ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড। তবে, দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমান সময়ে ভোজ্যতেল আমদানী করতে ২২ থেকে ২৩ হাজার কোটি টাকা লেগে যায়।
দেশে যে পরিমাণে ভোজ্যতেল বছরে লাগে তার মধ্যে মাত্র ১২ শতাংশ দেশে উৎপাদন হয়ে থাকে। অবশিষ্ট ৮৮ শতাংশ বিদেশ থেকে আমদারি করতে হয়। দেশে বছরে ২৪ লাখ টন ভোজ্যতেলের চাহিদা আছে। যার মধ্য দেশে উৎপাদন হয় মাত্র ৩ লাখ টন।
রাজশাহীতে ‘বিদ্যমান শস্যবিন্যাসে তেল ফসলের অন্তর্ভুক্তি এবং ধান ফসলের অধিক ফলনশীল জাতসমূহের উৎপাদন বৃদ্ধি’ শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।
কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ি, দেশে যে পরিমানে ভোজ্যতেল বছরে লাগে তার মধ্যে মাত্র ১২ শতাংশ দেশে উৎপাদন হয়ে থাকে। এ হিসাবটি সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। ইতোমধ্যেরই নানান পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ি ২০২৪-২৫ সাল নাগাদ দেশে উৎপাদিত তেল থেকে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ চাহিদা পুরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এটা করা সম্ভব হলে ভোজ্যতেল আমদানি করতে যে অর্থের ব্যয় হয় তা অর্ধেকে নেমে যাবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক আরো বলেন, ‘পুষ্টিসম্মত খাবার মানুষের মুখে তুলে দেয়ার জন্য অনেক বেশি জমি দরকার। সেই জমি নাই। কিন্তু প্রযুক্তি আছে। আমাদের বিজ্ঞানীরা পরিশ্রম করছে। নতুন নতুন জাত আনছে।