- দিবো দিবো বলে চেয়ারম্যান সাহেব কাটালেন ৫ বছর
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়ায় স্থানীয় প্রতিনিধিদের অবহেলায় দীর্ঘদিন ধরে দুর্ভোগের শিকার কয়েক গ্রামের মানুষ। একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে দাবি জানালেও প্রতিনিধিরা কর্ণপাত করছে না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন।
সরেজমিন জানা যায়, উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নের আষাঢ়িয়া চালা থেকে ভবানীপুর, ফকিরটুল হয়ে টাঙ্গাইলের সর্ববৃহৎ কাঁচামালের বাজার কুতুবপুর পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় প্রতিনিধিদের অবহেলায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
অথচ এ রাস্তাটি দিয়েই উপজেলার মরগাংগী, ঠাকুর চালা, শিরির চালা, ভবানীপুর, ফকিরটুলসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষের চলাচল ও বাজারে কৃষি-পণ্য বাজারজাত করতে হয়। এ রাস্তাটি ধরেই বড়চওনা-কুতুবপুর কলেজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের শত দুর্ভোগ সয়ে যেতে হয় বিদ্যা অর্জনে।
ভবানীপুর ও ফকিরটুল অংশের সাতানিবাইদ ও রাগামারী বাইদ (নিচু জমি) নামক জায়গায় ছোট্ট একটি কালভার্ট দেওয়ার কথা একাধিকবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যকে বললেও কোনো কর্ণপাত না করার ক্ষোভ ভুক্তভোগীদের।
এ বিষয়ে ভবানীপুর এলাকার শফিকুল ইসলাম (শফি) বলেন, এখানে একটা কালভার্টের কথা আমিও কয়েকবার জানিয়েছি, তবে চেয়ারম্যান সাহেব বলে দিবো দিবো, এই করে পাঁচ বছর কেটে যাচ্ছে। আর কবে দিবে” -এই বলে প্রশ্ন ছুড়ে দেন তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম (শরিফ) বলেন, নতুন বাজেট আসলে দেওয়া যেতে পারে। বক্সকালভার্ট নাই, ইতিপূর্বে অনেকবার বললেও কেনো কালভার্টের ব্যবস্থা করা হয়নি প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।
এ বিষয়ে ধলাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এজহারুল ইসলাম (মিঠু) ভূইয়াকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী রোশান আহমদ স্থানীয়দের একটা লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা বলেন। ইউপি চেয়ারম্যান এ রাস্তায় মাটি ভরাট ও কালভার্টের বিষয়ে কোনো চাহিদা দিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। আমাদের প্রকৌশলী মহোদয় আসুক উনার কাছে বিস্তারিত জেনে আপনাকে বলবো।