শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ব্রিজের পাটাতন খুলে যান বন্ধ

ব্রিজের পাটাতন খুলে যান বন্ধ

বগুড়ার আদমদীঘিতে রক্তদহ বিলের উপর নির্মিত বেইলি ব্রিজের পাটাতন (লোহার পাত) খুলে যাওয়ায় বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে এবং ছোট যানবাহনগুলো চলছে ঝুঁকি নিয়ে। গতকাল শনিবার সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয়রা ঝুঁকিপূর্ণ ব্রিজের উপর গাছের ডাল রেখে যানবাহন চালকদের বিপদ সংকেত বুঝানোর চেষ্টা করছেন। এতে এ সড়ক দিয়ে চলাচল করা বড় যানবহনগুলো ফিরে যাচ্ছে। এখানে স্থায়ীভাবে সিসি ঢালাই ব্রিজ নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।

এদিকে সড়ক বিভাগ বলছে, বেইলি ব্রিজের পরিবর্তে তাঁরা শিগরিই ঢালাই সেতু নির্মাণের জন্য দরপত্র আহবান করবে।

উপজেলার কদমা মৎস্য খামারের নিকট ঐতিহাসিক রক্তদহ বিলের মূল খালের ওপড় ২০০৬ সালে সড়ক ও জনপদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে ৬০.৯৬ মিটার দৈর্ঘ্যের স্ট্রিল ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। এতে বিলপাড়ের ১০ গ্রামের মানুষের প্রায় ১০ কিলোমিটার পথ কমে যায়। কৃষিপণ্য ও শস্য পরিবহন করার সঙ্গে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের যাতায়াত সহজ হয়।

এতে বিলপাড়ের কদমা, করজবাড়ি, রামপুরা ও ময়ূর কাশিমালাসহ ৮ থেকে ১০ গ্রামের মানুষের জীবনযাত্রার চিত্র বদলে যায়।  তবে, উদ্বোধনের পর ১৬ বছর অতিবাহিত হলেও ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্রিজটিতে উল্লেখযোগ্য কোনো সংস্কার কাজ করেননি কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার দুপুরের দিকে বেইলি ব্রিজের পাটাতন (লোহার পাত) খুলে যাওয়ায় বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে জীবিকার ত্যাগিদে ছোট যানবাহন যেমন- সিএনজি ও চার্জার চালিত অটোরিকশা, রিকশা, ভ্যান অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

উপজেলার দমদমা গ্রামের অটোরিকশা চালক রফিকুল ইসলাম চাঁন ও করজবাড়ী গ্রামের জাহিদুল ইসলাম বলেন, গাড়ি নিয়ে ব্রিজে ওঠার পর পুরো ব্রিজের পাটাতন নড়ে ওঠে। প্রচণ্ড শব্দ হয়। যাত্রী নিয়ে ভয়ে ভয়ে ব্রিজ পারাপার হতে হয়। আর এখন যে অবস্থা তাতে যাত্রী নিয়ে তো দূরের কথা ফাঁকা গাড়ী নিয়েও পার হতে ভয় লাগে।

আরও পড়ুনঃ  করোনা পরিক্ষার রিপোর্ট পাওয়ার আগেই মৃত্যু শিক্ষা অফিসারের

আদমদীঘি সদর ইউপির সদস্য ও করজবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা শহীদুল ইসলাম বলেন, পৌর শহর ও জংশন থাকায় উপজেলার সান্তাহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা। ব্রিজটি নির্মাণের আগে সান্তাহার শহরে পৌঁছাতে আদমদীঘি হয়ে প্রায় ১৫ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হতো। বর্তমানে ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার পরও জীবন-জীবিকার ত্যাগিদে ঝুঁকি নিয়েই এর ওপর দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

দ্রুত ব্রিজটি সংস্কার করা না হলে যেকোনো মুহূর্তে পাটাতন ভেঙ্গে প্রাণহানিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় আমাদের প্রাণের দাবি এখানে বেইলী ব্রিজের পরিবর্তে ঢালাই ব্রীজ নির্মাণের।

বগুড়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী আমানুল্লাহ আমান জানান, সেতুর পরিস্থিতি দেখে আমারা মন্ত্রনালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। সে অনুযায়ী অনুমোদন হয়েছে। এ সেতুটির পরিবর্তে এখানে ঢালাই সেতু নির্মান করা হবে। এখন দরপত্র আহবান করে ঠিকাদারের মাধ্যমে বেইলী ব্রিজের স্থলে শিগগিরই ঢালাই সেতু নির্মাণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন