রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একসঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি

একসঙ্গে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি
  • নাঙ্গলকোটে কলেজ শিক্ষকদের দুর্নীতির তদন্ত সম্পন্ন

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের হাছান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজের তিন শিক্ষক একই সঙ্গে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চাকরি করে সরকারি বেতন-ভাতা উত্তোলণের দায়ে তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠিত ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি তাদের তিনটি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে তদন্ত কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বান্নঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রিয়াজ মাহমুদ ভূঁইয়া, সুহৃদ এ কে কলেজ অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির হিসাব বিজ্ঞানের প্রভাষক মীর শাহাবুদ্দিন, ভোলাইন বাজার স্কুল এন্ড কলেজের রাষ্টবিজ্ঞানের প্রভাষক মো. শাহাবুদ্দিন প্রতিষ্ঠানগুলোতে চাকরির পাশাপাশি নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজেও তাদের নিয়োগ রয়েছে। এ নিয়ে ওই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে। এরপর তদন্ত কমিটি সরেজমিনে গিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষদের নিকট ওই তিন শিক্ষকের নিয়োগপত্র, যোগদানপত্র, এমপিও কপি ও ২০১৬, ১৭, ১৮, ২৯, ২০, ২১ ও ২০২২ সালের মে মাস পর্যন্ত হাজিরা শিট, বেতন বিবরণী, পদত্যাগপত্র এবং জিবি কর্তৃক পদত্যাগপত্র অনুমোদন বিষয়ক রেজুলেশনের কপিসহ সকল রেকর্ডপত্রের মূলকপি প্রদর্শন এবং অধ্যক্ষ কর্তৃক সত্যায়িত দুই সেট রেকর্ডপত্র তদন্ত কমিটির নিকট উপস্থাপন এবং স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠান প্রধানের লিখিত বক্তব্যসহ নিয়োগপত্র নিয়ে তদন্ত কমিটির সামনে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

তদন্ত করেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা কুমিল্লা অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর শোমেস কর চৌধুরী, সহকারী পরিচালক হেলাল উদ্দিন গবেষণা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাছির উদ্দীনের নেতৃত্ব তদন্ত দল নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ, ভোলাইন বাজার স্কুল এন্ড কলেজ, সুহৃদ এ কে কলেজ অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, বান্নঘর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।

আরও পড়ুনঃ  চিকিৎসা উপকরণ ঘাটতির আশঙ্কা ডব্লিউএইচও’র

আরও জানা যায়, ওই তিন শিক্ষকের ২০১৬ সালে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজে নিয়োগ দেখিয়ে সরকারি আত্নীয়করণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অন্যান্য শিক্ষক কর্মচারীদের সঙ্গে তাদের নামের তালিকা প্রেরণ করেন। তবে, শিক্ষকগণ তাদের স্ব-স্ব কর্মস্থল থেকে বেতন ভাতা রীতিমত উত্তোলণ করেছেন।

এ বিষয়ে সুহৃদ এ কে কলেজ অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ বলেন, প্রভাষক মীর শাহাবুদ্দিন এক থেকে দেড় বছর কলেজে না আসায় আমরা তার বেতন বন্ধ করে দিয়েছি ও বান্নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, শিক্ষক রিয়াজ মাহমুদ ভূঁইয়া ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে বেতন-ভাতা উত্তেলণের পর আর স্কুলে আসেনি এবং ভোলাইন স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মহি উদ্দিনের মোবাইল বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা কুমিল্লা অঞ্চলের পরিচালক প্রফেসর শোমেস কর চৌধুরী বলেন,  শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলমান রয়েছে। সঠিক প্রতিবেদন মন্ত্রাণালয়ে দাখিল করবো।

এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট হাছান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুল্লাহ মজুমদারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমার আমলে তাদের নিয়োগ হয়নি। আমি কোনো বক্তব্য দিতে পারবো না।

সংবাদটি শেয়ার করুন