শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

উৎপাদন বাড়লেও ঘাটতি

উৎপাদন বাড়লেও ঘাটতি
  • নীলফামারীতে উৎপাদন বেড়েছে ১১১৩ টন
  • চাহিদা বৃদ্ধিতে ঘাটতি বেড়ে ৪৫০৯ টন

নীলফামারী জেলায় মাছের ঘাটতি ৪ হাজার ৫০৯ দশমিক ১৮ মেট্রিক টন। সারা বছর ৪১ হাজার ৭৭৪ দশমিক ১৮ মেট্রিকটন চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন হচ্ছে ৩৭ হাজার ২৬৫ মেট্রিক টন। ওই ঘাটতি পূরণ করা হচ্ছে বাইরের জেলা থেকে মাছ আমদানী করে।

গতকাল শনিবার বেলা ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ওই তথ্য জানানো হয়।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বরুন চন্দ্র বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন ভারপ্রাপ্ত জেলঅ প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম। অন্যান্যেও মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অীতরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোজাম্মেল হক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাইফুর রহমান, মৎস্য বিভাগের সহকারি পরিচালক আনোয়ার হোসেন, মৎস্য খামার ব্যবস্থাপক মাহবুবার রহমান, সদও উপজেলা মৎস্য কর্তকর্তা শারমিন আক্তার প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ জেলায় ২০১০ সালে মাছের ঘাটতি ছিল ১৬ হাজার ৭৮৬ মেট্রিকটন। মৎস্য চাষের উন্নতির ফলে কমছে সে ঘাটতি পরিমান। ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বছরে ঘাটতির পরিমান এসে দাঁড়ায় ৬ হাজার ১৫২ মেট্রিকটনে। সে বছর জেলায় মাছের চাহিদা ছিল ৩৬ হাজার ১৫২ মেট্রিক টন। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে আরও চাহিদা বেড়ে ৩৭ হাজার ২৬৫ মেট্রিক টনে এসে পৌঁছলেও ঘাটতির পরিমান কমে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৫০৯ দশমিক ১৮ মেট্রিক টনে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ররুন চনন্দ্র বিশ্বাস জানান, মোছ উৎপাদনে ব্যবহার হচ্ছে ২৯ হাজার ৭২৭টি পুকুর, ৭৪টি বিল, ২০টি নদী, ১৩টি খাল, ৭৯টি প্লাবনভূমি, ৩৭টি জলা ও ১১টি তিস্তা সেচ খালে খন্ড অংশ। যার মোট আয়ত ৩৫ হাজার ৩৭৭ দশমিক ৭২ হেক্টর। মৎস্যজীবীর সংখ্যা ৭ হাজার ২২২ জন, মৎস্য চাষীর সংখ্যা ২৫ হাজার ৯২৮ জন, মৎস্য সমিতর সংখ্যা ৬৮টি, প্রশিক্ষিক মৎস্য চাষীর সংখ্যা ১ হাজার ৬৯৮ জন।

আরও পড়ুনঃ  প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ ফিফা সভাপতির

তিনি বলেন,‘নিরাপদ মাছে ভরবো দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ শ্লোগানে মৎস্য সপ্তাটি চলবে আগামী ২৯ জুলাই পর্যন্ত। সপ্তাহের কর্মসূচিতে প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শণ, বিভিন্ন জলাশয়ে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ, মাছ চাষীদের মধ্যে উপকরণ বিতরণ, পুকুরের মাটি ও পানি পরীক্ষা, সফল চাষীদের পুরস্কার বিতরণ করা হবে।’

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন