রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোলাহাটে ক্রেতা নেই আমের বাজারে ধস

ভোলাহাটে ক্রেতা নেই, আমের বাজারে ধস

সারি সারি আম ভর্তি ডালি। বিক্রেতা থাকলেও ক্রেতা নেই। হতাশ আম বিক্রেতারা। এখানে ওখানে বসে দাঁড়িয়ে একে অপরের সঙ্গে আম বিক্রি নিয়ে নানা কথা পরামর্শ আলোচনা করছেন আম বিক্রেতারা। এ চিত্র চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা আম ফাউন্ডেশনের।

ভোলাহাট উপজেলার একমাত্র আম বিক্রয় কেন্দ্র হচ্ছে আম ফাউন্ডেশন। যেখানে ভোরের সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আম ক্রেতা ও বিক্রেতার উপস্থিতে থাকে সরগরম। গত সপ্তাহ পর্যন্ত আমের দাম ভালো থাকলেও ১৯ জুলাই থেকে পাল্টে গেছে সে চিত্র। ক্রেতা শুন্য হয়ে পড়েছে আম ফাউন্ডেশন। সারি সারি আমের ডালি সাজিয়ে রাখলেও কোনো ক্রেতা নেই। অলস সময় কাটাচ্ছেন আম বিক্রেতারা।

আম বিক্রেতা রবিউল ইসলাম বলেন, এখন দুপুর একটা। আমের বাজারে ক্রেতা না থাকায় আম বিক্রি করতে পারছিনা। এর আগে আম বিক্রি করতে এসে সকাল ১০টার মধ্যে বিক্রি করে চলে গিয়েছি। আরেক বিক্রেতা আব্দুল মান্নান বলেন, গতকাল আশি^না আম বিক্রি করেছি ২ হাজার ৫শ’ টাকা থেকে ২ হাজার ৭শ’ টাকা মণ দরে। আজ হঠাৎ ১ হাজার ৫শ’ থেকে ১ হাজার ৭শ’ টাকা মণ দরে বিক্রি করতে চাইলেও ক্রেতা না থাকায় বিক্রি করতে পারছিনা।

আম আড়ৎদার নজরুল ইসলাম জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গার ভোক্তাদের আমের চাহিদা না থাকায় মোকাম থেকে বেপারিরা আসছেন না। তাছাড়া বাইরে আমের দাম কমে গেছে। ফলে আম ক্রয় করা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমার আড়তে প্রায় ২৫ জন শ্রমিক বিভিন্ন কাজ করে থাকেন। আম ক্রয় করতে না পারায় শ্রমিকেরা ঘুমিয়ে বসে দিন পার করছেন।

আরও পড়ুনঃ  করোনার সঙ্গে বাংলাদেশের এক বছর

এ ব্যাপারে আম ফাউন্ডেশন ভোলাহাটের সাধারণ সম্পাদক মুনসুর আলী জানান, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বেপারিরা না আসায় আম বিক্রি হচ্ছে না। এতে চরমভাবে আম ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। আম ক্রয়-বিক্রয়সহ নানা কাজে শত শত শ্রমিক কাজ করেন তাঁদের কাজও বন্ধ হয়ে গেছে। এতে তাঁরাও চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন