বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
কোরবানীর পশুর হাট

গরু বেচার অপেক্ষায় খামারিরা

আরিফুল ইসলাম শ্যামল, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ)

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে গরু লালন পালনের শেষ মুহুর্তে বিক্রির অপেক্ষায় আছেন খামারিরা। হাটে ক্রেতাদের আগ্রহ বাড়ছে। এ অঞ্চলের গ্রামের প্রায় বাড়িতেই অল্প পুঁজিতে মিনি খামার গড়ে তোলা হয়েছে। এসব খামারে দেশী-বিদেশী জাতের বিভিন্ন সাইজের গরু মোটাতাজা করা হয়েছে। এলাকাভিত্তিক খামারগুলোতে গরু কিনতে ক্রেতারা আসছেন। খামার থেকে গরু বিক্রির পাশাপাশি স্থানীয় হাটে গরু তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এরই মধ্যে অস্থায়ী গরু-ছাগল বিক্রির হাটগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। গরু ও ছাগল নিয়ে বেপারীরা হাটে আসতে শুরু করছেন। উপজেলায় ১টি নিয়মিত ও ৫টি অস্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে চলতি হাটগুলোতে গরু-ছাগল কেনাবেচার ধুম পড়বে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন এনজিও সংস্থার কাছ থেকে ঋণের মাধ্যমে স্বল্প আয়ের পরিবারগুলো গরু মোটাতাজা করনে মিনি খামার গড়ে তুলেছেন। এসব খামারে দেশী-বিদেশী জাতের ষাঁড়ের পাশাপাশি দুধের গাভীও লালন পালন করা হচ্ছে। খামারিরা বলেন, খোলা বাজারে গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় গরু পালনে অধিক খরচ হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য খরচতো আছেই। আসন্ন কুরবানীর ঈদে পশুর হাটে গরু বিক্রির অপেক্ষায় আছেন তারা।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা যায়, তালিকা অনুযায়ী খামারিদের সংখ্যা প্রায় ৪ শতাধিক। বীরতারা এলাকার আবুল হোসেন হাওলাদার বলেন, ব্যুরো বাংলাদেশ (এনজিও) থেকে ঋণ নিয়ে ১৮টি গরু পালন করছেন তিনি। কুকুটিয়ার মোস্তফা মোল্লা জানান, এ বছর ২০টি ষাঁড় গরু প্রস্তুত করেছেন। এখন হাটে বিক্রির অপেক্ষায় আছেন তিনি।

আরও পড়ুনঃ  উলিপুরে ৮ বছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলোনা রফিকুলের

জানা যায়, উপজেলার ভাগ্যকুল মান্দ্রা, কেদারপুর হাট, বাঘড়া বাজার সংলগ্ন পদ্মার পাড়ে, আটপাড়ার বেলতলী জিজে উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন খেলার মাঠ ও বাড়ৈখালীর শিবরামপুর অস্থায়ী গরুর-ছাগলের হাট রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার শ্রীনগর সদর ইউনিয়নের দেউলভোগ নিয়মিত হাটে গরু-ছাগল কেনাবেচা শুরু হয়েছে। হাটগুলোতে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত ক্রেতারা তাদের পছন্দের কোরবানীর গরু-ছাগল কিনবেন।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন