ঢাকা | শনিবার
২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সম্রাটকে দেখতে ভিড়

সম্রাটকে দেখতে ভিড়

ঈদুল আযহায় কোরবানীকে সামনে রেখে নাটোর জেলাজুড়ে বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে হাজারো গরু। চমৎকার সব নামও রাখা হয়েছে গরুর সঙ্গে মিল করে রাজা বাবু, পাগলা বাবু, বাংলালিংক, হিরো আলম, কালো মানিকসহ বাহারি সব নাম। এসব নাম শুনে একনজর দেখার জন্য ছুটে আসছেন দুরদূরান্ত থেকে নানা বয়সী উৎসাহি জনতা। কেউ ক্রয় করতে কেউ বা আবার আসছেন এক নজর দেখার জন্য।

নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ঝাউপাড়া গ্রাামের প্রভাষক মাসুদ রেজা অনেক আগে থেকেই গরু লালন-পালন করে আসছেন। দুধেল গাভি দিয়ে শুরু করেন খামার। আস্তে আস্তে বাড়তে থাকে খামারের গরুর সংখ্যা। পাশাপশি গত প্রায় চার বছর ধরে কোরবানি উপলক্ষে ষাঁড় পালন শুরু করছেন। এবছর বিশালাকৃতির ‘নাটোরের সম্রাটকে পালন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবাইকে।

নাটোর জেলার সবচেয়ে আকর্ষণীয় এ কোরবানির গরুটির নাম রেখেছেন সম্রাট। ৩৩ মণ ওজনের সম্রাটের দাম চাওয়া হচ্ছে ২০ লাখ টাকা।

প্রভাষক মাসুদ রেজা জানান, ৬ বছর আগে মাস্টার ডেউলি ফার্ম নামে একটি গরুর খামার তৈরি করেন। সেই খামারেই পরম মমতায় লালন-পালন হচ্ছে ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টি। ৪ বছর আগে নিজের খামারেই জন্ম নেয় সম্রাট। এরপর থেকেই কোনো প্রকার পুশ বা ফিড ছাড়া দেশীয় খাবার খৈল, গম আর জবের ভূসি, খড়, কাঁচা ঘাস ও ভাতের মাড় খাইয়ে রাত দিন পরিশ্রম করে সম্রাটকে বড় করেছেন তিনি।

গতকাল রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়, খামারের দুইজন রাখাল ‘নাটোরের সম্রাটের গায়ে পানির ছিঁটা দিয়ে  তার পর পরিস্কার কাপড় দিয়ে গরুটির শরীর মুছে দিচ্ছেন। গরুটির সামনে পেছনে ও উপরে বৈদ্যুতিক পাখা লাগানো হয়েছে। খামারে সম্রাটসহ অন্যান্য গরুকে দেখভালের দায়িত্বে থাকা আব্দুল হান্নান ও আফজাল মোল্লা জানান, সম্রাট উচ্চতা প্রায় ৬ফিট। বুকের মাপ ১১৫ ইঞ্চি। বর্তমান ওজন প্রায় ৩৩ মণ। দাম চাওয়া হচ্ছে ২০ লাখ টাকা।

গুরুদাসপুর উপজেলা প্রণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আলমগীর হোসেন জানান, খামারি মাসুদ রেজা প্রতিবছর ঈদকে সামনে রেখে দেশীয় এবং আধুনিক পদ্ধতিতে একটি করে উন্নত জাতের ষাঁড় গরু পালন করেন। নাটোর জেলার মধ্যে অন্যতম হলো নাটোরের সম্রাট। এছাড়াও গুরুদাসপুর উপলোয় আসন্ন ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে বিক্রির উদ্দেশ্যে ৮৪ হাজার ১শ টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮হাজার ২৪৯টি গরু ও ৬শ ৮৭টি মহিষ, ৫০হাজার ৬শ ১০টি ছাগল ও ৫হাজার ৫৪৬টি ভেড়া। এসব পশুর বাজার মুল্য ধরা হয়েছে প্রায় ৫শ কোটি টাকা।

সংবাদটি শেয়ার করুন