শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ধলাইরক্ষা বাঁধ

নির্মাণের ৬ মাসেই ধস

নির্মাণের ৬ মাসেই ধস

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ঘোড়ামারা গ্রাম এলাকায় ৬ মাস পূর্বের নির্মিত  ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের  ৫০ ফুট এলাকা জুড়ে ধসে পড়েছে। বাঁধ ধসে নদীর দু’পাড়ের ৫টি গ্রামের যাতায়াত বন্ধ হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ পানি উন্নয়ন বোর্ড পাশ্ববর্তী শুকুর উল্লা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ১০ দিন আগে প্রতিরক্ষা বাঁধ ধসে পড়ে। সেখানে ঠিকাদার মেরামতের জন্য নদীর বালু উত্তোলন করায় বুধবার সন্ধ্যায় ওই নির্মিত এলাকায় হঠাৎ ধস দেখা দেয়। এতে এ বাঁধের ওপর দিয়ে চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, ধসে পড়া এলাকায় লাল কাপড় টাঙ্গানো। চলাচলকারী রাস্তাটি এলাকাবাসী বাশের বেড়া দিয়ে বন্ধ করে রেখেছেন। নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের পাড়টি প্রায় ৫০ ফুট এলাকাজুড়ে ধসে পড়েছে। তপন সিংহ, মিলন সিংহ, বিধান সিংহসহ স্থানীয়দের অভিযোগ, ধসে পড়া বাঁধটি মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড ৬ মাস পূর্বে ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে মেরামত করে। মেরামতকৃত বাঁধ দিয়ে এলাকাবাসী যাতায়াত করছিলেন। গত ১০ দিন আগে ধলাই নদীর শুকুর উল্ল্যা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় ধস সৃষ্টি হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড শাহজালাল এন্টারপ্রাইজ নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাঁধটি রক্ষার জন্য মেরামত কাজ শুরু করে। তবে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পূর্বে ফাটল এলাকায় বালু দিয়ে ভরাট করতে সোমবার সকালে নদীর ভিতর থেকে মেশিন লাগিয়ে  বালু উত্তোলন করে। এতে করে মঙ্গলবার দুপুরে বাঁধে কিছু ফাটল সৃষ্টি হয়। এসময় এলাকাবাসী বালু উত্তোলনে নিষেধ করলেও ঠিকাদার বালু উত্তোলন অব্যাহত রাখায় বুধবার বিকালে হঠাৎ করে ঘোড়ামারার ওই বাঁধ ধসে পড়ে।  স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ৬ মাস পূর্বের সম্পন্ন বাঁধটিতে নিম্নমানের কাজ হওয়ায় দ্রুত সময়ে বাঁধটি ধসে পড়ছে।

আরও পড়ুনঃ  বৈধ উপায়ে আরও বাংলাদেশি নি‌তে চায় ইতা‌লি

স্থানীয় ইউপি সদস্য হেলাল উদ্দীন বলেন, ১০ দিন আগে ধসে পড়া বাঁধটি মেরামতের জন্য ঠিকাদার নদীর ভিতর থেকে বালু উত্তোলন করায় বর্তমানে ভালো বাঁধটি নদীর গর্ভে চলে গেছে। স্থানীয়রা বালু উত্তোলনে বাঁধা দিলেও বাধা মানেনি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফলতিতে এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাঁধটি মেরামত করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শাহজালাল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী  সালিক মিয়া বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতি নিয়েই বালু উত্তোলন করছি। বালু উত্তোলনের সাথে বাঁধ ধসে পাড়ার কোন কারন নেই। শুধু আমি নয়ই বিগত সময়ে অনেক ঠিকাদার বালু উত্তোলন করেছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মৌলভীবাজারের উপ সহকারী প্রকৌশলী মো. সাকিব হোসেন  বলেন, ধসে পড়া বাঁধ সরজমিন পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্টদের কাছে স্টিমিট জমা দিয়েছি। বরাদ্ধ পেলে দ্রুত সময়ের মধ্যে বাধঁটি মেরামত করা হবে। তবে বালুর কারনে বাঁধ ধসে পাড়ার বিষয়টি মানতে রাজি নন।

সংবাদটি শেয়ার করুন