নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, বরিশাল, নেত্রকোণার পর এবার পাবনার বেড়া উপজেলার পৌর এলাকায় এক গৃহবধূ একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিনি তিন পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তাদের নাম রাখা হয়েছে পদ্মা, সেতু ও উদ্বোধন।
গৃহবধূর নাম সুমী খাতুন (৩০)। তিনি বেড়া পৌর এলাকার আমাইকোলা গ্রামের মো. মিজানুর রহমানের স্ত্রী। মিজানুর রহমান পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী।
গৃহবধূ সুমী খাতুন বলেন, আমার তিন কন্যা সন্তান রয়েছে। বংশের হাল ধরার মানুষ নেই বলে খুব দুশ্চিন্তা করতাম। কিন্তু মহান আল্লাহপাক আমাদের মনের আশা পূরণ করেছেন। যা চেয়েছিলাম তার চেয়ে অনেক বেশি পেয়েছি। আমাদের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের দিন আজ। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিন ছেলেদের জন্ম হয়েছে। এজন্য তার বাবা ছেলেদের নাম পদ্মা, সেতু ও উদ্বোধন রেখেছে। বর্তমানে আমাদের শিশু তিনটিসহ আমি সুস্থ আছি।
বাবা মিজানুর রহমান জানান, গত ২৩ জুন সন্ধ্যার দিকে পাবনা শহরের পিডিসি হাসপাতালে চিকিৎসককে দেখানোর পর তিনি আল্ট্রাসনোগ্রাম করে জানান, পেটের ভেতরে বাচ্চার অবস্থান একটু বেকায়দায় রয়েছে। দ্রুত সিজারিয়ান অপারেশন করতে হবে। তাৎক্ষণিক রাজশাহী নিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে সুমী খাতুন তিন ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
তিনি বলেন, তিন সন্তানের ডাক নাম হিসেবে পদ্মা, সেতু ও উদ্বোধন নাম রাখা হয়েছে। পরে তাদের ভালো নাম রাখা হবে। এমন নাম রাখার কারণ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, পদ্মা সেতু আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার স্বপ্ন, আবেগ ভালবাসা। সেই স্মৃতি ধরে রাখতে মূলত তাদের নাম রাখা হয়েছে। কোনো পুরষ্কার পাওয়ার লোভে আমার সন্তানদের নাম পদ্মা, সেতু, উদ্বোধন রাখা হয়নি। দেশকে ভালোবেসে, উন্নয়নের বিজয়গাঁথাকে স্বরণীয় করে রাখতে এই নাম রাখা।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে সুমী খাতুনের সঙ্গে মিজানুরের বিয়ে হয়। এর আগে তাদের সংসার জীবনে তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। তাদের নাম মীম (১১), জীম (৮) ও সীম (৪)। নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সবার জন্ম হয়।