সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি আরও কমেছে। বর্তমানে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে আশ্রয়কেন্দ্রের অনেকেই বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িতে ফিরতে শুরু করেছেন।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে পানি ৩২ সেন্টিমিটার পানি কমে বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, অপরদিকে কাজিপুর পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার কমে ৩৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। জেলার ৫টি উপজেলায় ২২৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যাকবলিতদের মাঝে এ পর্যন্ত ৪৮.৯০০ মেট্রিক টন চাল ও ৪ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এখনও ৭.৭১ মেট্রিক টন চাল ১৩ লাখ ৮২ হাজার ৫ শত নগদ টাকা বিতরণের জন্য মজুদ আছে। এ সকল ত্রাণসামগ্রী বিতরণের জন্য বন্যায় স্ব স্ব এলাকার উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের কাছে দ্রুত ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা চাওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যেই নদীভাঙনের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের ১০ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার এবং ১ হাজার বান্ডিল ঢেউটিনের চাহিদা জানিয়ে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ১৮৪টি আশ্রয়কেন্দ্র এবং আশ্রিতদের স্বাস্থ্যসেবার জন্য ২৩টি মেডিকেল টিম এখনও চালু আছে।