শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদ্মা সেতুতে আনন্দিত বিশ্বব্যাংক

পদ্মা সেতুতে আনন্দিত বিশ্বব্যাংক

বাংলাদেশে পদ্মা সেতু হওয়াতে বিশ্বব্যাংক আনন্দিত হয়েছে। এখন আর পেছনে ফেরার সময় নয়, সামনের দিকে তাকাতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন। তিনি বলেন, তারা এখন ভবিষ্যতের দিকে তাকাতে চান। এ জন্য বাংলাদেশকে অভিনন্দন। গতকাল শনিবার পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি হয়ে অংশ নেন টেম্বন। মাওয়ার জাজিরা প্রান্তে সুধী সমাবেশের পর গণমাধ্যমকর্মীরা তাকে এই সেতু প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন করলে এসব কথা বলেন।

সেতুটি নির্মাণে শেষ পর্যন্ত থাকতে না পেরে বিশ্বব্যাংক অনুতপ্ত কি না- এমন প্রশ্নে টেম্বন সরাসরি জবাব দেননি। বলেন, বিশ্বব্যাংক পুরো বিষয়টিকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় বিশ্বব্যাংক আনন্দিত। এ জন্য বাংলাদেশকে বিশ্বব্যাংক অভিনন্দন জানাচ্ছে। সেতু নির্মাণ শেষ হয়েছে সেটাই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এখানে সেটাই উদযাপন করতে এসেছি। এ সেতু নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ খুবই গর্বিত। একই সঙ্গে আমরাও গর্বিত। সেটাই আসল কথা। তিনি বলেন, কীভাবে এ সেতু মানুষের কাজে আসবে সেটা দেখতে মুখিয়ে আছি। সবাই এটা নিয়ে আনন্দিত। এ কারণেই আমরা সবাই এখানে এসেছি।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার পদ্মা সেতু নির্মাণে যখন উদ্যোগ নেয়, তখন ঋণচুক্তি করা হয় দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জাইকা, আইডিবির সঙ্গে। ২০১১ সালের এপ্রিলে ২৯০ কোটি ডলারের এই প্রকল্প করতে ঋণচুক্তি করে সরকার। এর মধ্যে ১২০ কোটি ডলার দেয়ার কথা ছিল বিশ্বব্যাংকের। তবে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান এসএনসি লাভালিনকে কাজ দেয়ার ক্ষেত্রে দুর্নীতিচেষ্টার অভিযোগ হয়েছে- এমন একটি অভিযোগ তোলে দাতা সংস্থাটি। বলা হয়, এই দুর্নীতিচেষ্টায় লাভালিন ছাড়াও সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তারা জড়িত। সে সময় বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে এসে তদন্ত করেন। তারা আবুল হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা ও তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে কোনো প্রমাণ না পাওয়ার কথা জানিয়ে এই ব্যবস্থায় রাজি হয়নি।

আরও পড়ুনঃ  আবারো বায়ুদূষণে শীর্ষে ঢাকা

যদিও সে সময়ের সেতুসচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর মধ্যে ২০১২ সালের ২৩ জুলাই আবুল হোসেন মন্ত্রিত্ব ছাড়েন। সরে যান প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মসিউর রহমান। তবে তার পদত্যাগেও বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্পে ফেরেনি।

ওই বছরের জুনেই প্রকল্প থেকে সরে যায় দাতা সংস্থাটি। পরে জাইকা, এডিবি, আইডিবি সরে দাঁড়ালে প্রকল্প নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। এর মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই বছরের ৪ জুলাই জাতীয় সংসদে নিজস্ব অর্থায়নে সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন। সেতুর কাজ শুরুর দুই বছর পর ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে কানাডার আদালত রায় দেয় পদ্মা সেতুতে দুর্নীতিচেষ্টার অভিযোগ বায়বীয়, গালগপ্প।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন