শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিল্পনগরীর ফুটপাতে বেচা-কেনার ধুম

শিল্পনগরীর ফুটপাতে বেচা-কেনার ধুম

প্রতি শুক্রবারসহ কম-বেশি প্রতিটি দিনই যেন ঈদের আনন্দ বিরাজ করে শিল্পনগরী আশুলিয়াসহ আশপাশের এলাকাগুলোর কর্মজীবিদের মাঝে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে ছুটে আসে জীবিকার তাগিদে। এখানে এসেই সবাই ব্যস্ত হয়ে পড়ে বিভিন্ন কর্মে।

ইট পাথরের শহরে কর্ম ছাড়া মুক্তি নেই। এখানকার ৯০ ভাগ মানুষ সপ্তাহে ৬ দিনই থাকেন কর্মস্থলে। এজন্য তাদের খোলা আকাশ দেখার সৌভাগ্য হয় না বললেই চলে। পরিবারকে সময় দেওয়া তো বহু দূর।

দীর্ঘ ৬ দিন তারা নাভিশ্বাস ফেলাতে পারেনা বললেই চলে। সকল ব্যস্ততার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার আসলেই কর্মজীবি মানুষগুলো মেতে ওঠে পরিবার নিয়ে। বেড়ে যায় পরিবার নিয়ে ব্যস্ততা। কেউ পরিবার নিয়ে কেনাকাটা করতে যায় বিভিন্ন শপিংকমপ্লেক্সে। আবার কেউ পরিবার নিয়ে ঘুরতে যায় বিভিন্ন বিনোদন পার্কে। তবে এখানকার স্বল্পআয়ের মানুষগুলোর উপচে পড়া ভিড় জমে উঠে শিল্পনগরীর ফুটপাতে ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে। যে কেউ হঠাৎ করে এক নজর দেখে মনে করতেই পারেন ঈদ কিংবা কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানের কেনাকাটা চলছে। প্রতি শুক্রবারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মহামিলন ঘটে এখানে।

সেলিম সরদার (৩৪) নামে একজন ক্রেতা (গার্মেন্টসকর্মী) বলেন, আমি দীর্ঘ সাত-আট বছর যাবৎ আশুলিয়ায় থাকি এবং স্বল্প বেতন হওয়ায় ও জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় আমি আমার পরিবারের চাহিদা পূরণ করতে ফুটপাতের দোকানগুলো বেচে নিই। আরও একজন বলেন, ফুটপাতের এসব ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো আছে বলেই আমার মত গার্মেন্টসকর্মীরা পরিবারের চাহিদা কিছুটা পূরণ করতে পারে। নয়তো ধনীদের মত নামিদামি শপিংমলগুলোতে যেয়ে আমাদের দ্বারা কেনাকাটা করা সম্ভব হত না।

আরও পড়ুনঃ  চট্টগ্রামে সাংবাদিকের ওপর হামলা

আমরা ফুটপাতে আসলে জামাকাপড়, শাকসবজি থেকে শুরু করে সবকিছুই পেয়ে যাই স্বল্পমূল্যে। তাই শত অস্বস্তির মাঝে ও কিছুটা স্বস্তিতে আছি পরিবার নিয়ে। সরকারে উচিৎ জিনিস পত্রেরদাম কমিয়ে আমাদের মত স্বল্প আয়ের মানুষদের একটু স্বস্তিতে রাখা। আর সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের লাগাম টেনে ধরা।

আল-আমিন হোসেন নামে একজন সবজি বিক্রেতা বলেন, আমরা সব সময় চেষ্টা করি। স্বল্পলাভে ক্রেতাদের কাছে পণ্য বিক্রি করতে। তবে আমরা ক্রেতা-বিক্রেতা সবাই মিলে বিপাকে পড়েছি দ্রব্যমূল্যের ঊর্দ্ধগতির জন্য। জানিনা এভাবে নিয়ন্ত্রণহীন বাজার থাকলে আমরা কতদিন চলতে পারবো। কয়েকজন ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ী বলেন, একদিকে বাজারের ঊর্ধ্বগতি, অন্যদিকে দিতে হয় বিভিন্ন মহলের নেতাদের চাঁদা। সবকিছু মিলে ততোটা ভালো নেই আমরা। আমরা বিচার দিবো কার কাছে আর কে করবে বিচার?

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন