শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চট্টগ্রামে আক্রান্ত আরও ২৬ জন

চট্টগ্রামে আক্রান্ত আরও ২৬ জন

চট্টগ্রামে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৬ জন। সংক্রমণ হার ৫ দশমিক ৭৭ শতাংশ। এ সময়ে শহর ও গ্রামে করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি। গতকাল শনিবার চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে জেলার করোনা সংক্রান্ত হালনাগাদ পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডি ও নগরীর পাঁচ ল্যাবরেটরিতে শুক্রবার ৪৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন আক্রান্ত ২৬ জনের মধ্যে শহরের বাসিন্দা ২৫ জন ও সাতকানিয়া উপজেলার একজন। জেলায় করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৯১৩ জনে। এর মধ্যে শহরের বাসিন্দা ৯২ হাজার ৩৬২ জন এবং গ্রামের ৩৪ হাজার ৫৫১ জন। গতকাল করোনাভাইরাসে শহর ও গ্রামের কোনো রোগি মারা যাননি। ফলে মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৩৬২ জনই রয়েছে। এতে শহরের বাসিন্দা ৭৩৪ জন ও গ্রামের ৬২৮ জন।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্টে দেখা যায়, বেসরকারি এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে গতকাল সবচেয়ে বেশি ২৪৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে শহরের ২ ও গ্রামের একজনের সংক্রমণ ধরা পড়ে।

ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৭৫ জনের নমুনায় শহরের ১৭ জন আক্রান্ত বলে জানানো হয়।

বেসরকারি আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৪১ টি নমুনা পরীক্ষায় শহরের ৩ টিতে জীবাণু পাওয়া যায়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২২ টি নমুনার মধ্যে শহরের একটিতেও জীবাণুর অস্তিত্ব শনাক্ত হয়নি। এপিক হেলথ কেয়ারে ৪৯ জনের নমুনায় শহরের ২ জনের পজিটিভ রেজাল্ট আসে। মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলে একজনের শরীরে ভাইরাসের উপস্থিতি মিলে।

আরও পড়ুনঃ  মুহিবুল্লাহকে ২ মিনিটেই হত্যা করে ৫ অস্ত্রধারী

এদিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (চমেকহা), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালের আরটিআরএল, বেসরকারি ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরি শেভরন, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, ল্যাব এইড, এভারকেয়ার হসপিটাল ও শাহ আমানত বিমানবন্দর ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা হয়নি। নমুনা সংগ্রহের কোনো কেন্দ্রেই একজনেরও এন্টিজেন টেস্ট করা হয়নি। চট্টগ্রামের কোনো নমুনা কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ল্যাবে পরীক্ষার জন্য যায়নি।

ল্যাবভিত্তিক রিপোর্ট বিশ্লেষণে সংক্রমণ হার পাওয়া যায়, এশিয়ান স্পেশালাইজড হাসপাতাল ল্যাবে ০ দশমিক ৮১ শতাংশ, বিআইটিআইডি’তে ২২ দশমিক ৬৬, আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ৭ দশমিক ৩১, এপিক হেলথ কেয়ার ৪ দশমিক ০৮, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ৫ দশমিক ৮৮ এবং মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ০ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে বিশ্বে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। বাংলাদেশে ভাইরাসটিতে প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ২০২০ সালের ৮ মার্চ। আর চট্টগ্রামে শনাক্ত হয় একই বছরের ৩ এপ্রিল। এরপর ৯ এপ্রিল ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে দেশের দ্বিতীয় রাজধানীখ্যাত চট্টগ্রামে প্রথম কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন