শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যায় বেড়েছে সাপের উপদ্রব

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে

কুলাউড়ায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। পানিবন্দি হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। অনেক জায়গায় রয়েছে রান্না করা খাবারের সংকট। বন্যার পানিতে আক্রান্ত হয়ে পানিতে তলিয়ে আছে শত শত ঘর।

গুপ্তগ্রাম,মইন্তা,রফিনগর,ছকাপন ও হাওরতীরের ভূকশিমইল ইউনিয়নের কারেরা, চিলারকান্দি, বড়দল, বাদে ভূকশিমইল, শসারকান্দি, কানেহাত, জাবদাসহ অনান্য গ্রামের সহস্রাধিক মানুষের বসত ঘরে এখনো রয়েছে বন্যার পানি।

কুলাউড়া উপজেলার পৌরসভা এলাকায় বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে সাপের কামড়ে শিপু নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শিপু কুলাউড়া পৌরসভা এলাকার বাদে মনসুর গ্রামের মাখন মিয়ার ছেলে।সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির পশ্চিমে জমিতে মাছ ধরতে যায় শিপু। পরে বিষধর সাপ তাকে কামড় দেয়। তার কোনো খোঁজ না পাওয়া গেলে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজতে বের হন। পরে রাত ১০ টার দিকে বাড়ির পাশে জমিতে পানির মধ্যে তার মরদেহ ভাসতে দেখেন স্বজনরা। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. ময়নুল ইসলাম বলেন, বিষধর সাপের কামড়েই শিপুর মৃত্যু হয়েছে। তার মাথায় সাপের কামড়ের চিহ্ন রয়েছে।

কুলাউড়ায় বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণের স্বল্পতা রয়েছে। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে শুকনো ও রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের সকল রাস্তা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলার সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে বন্যার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি খোলা হয়েছে ২৯ টি আশ্রয়কেন্দ্র।এছাড়াও কুলাউড়া শহরের আংশিক এলাকায় এখনো থইথই পানি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে পানি।

আরও পড়ুনঃ  ধরলার চরাঞ্চল প্লাবিত

আহমদাবাদ মাদ্রাসা, উপজেলা কমপ্লেক্সর রাস্তায় পানি আর পানি। কোথাও হাঁটু, কোথাও এর চেয়ে বেশি পানি। কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র অধ্যক্ষ সিপার উদ্দিন আহমদ জানান, জলনিষ্কাশনের অভাবে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় পৌরবাসীরা দুর্ভোগের শিকার হয়েছেন।

ইউএনও এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, বন্যাকবলিত মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে জনপ্রতিনিধিসহ স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে কাজ করছি। বন্যার্তদের শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে’।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন