টানা প্রবল বর্ষণে কক্সবাজারের মহেশখালীতে প্রায় সব নিম্নাঞ্চল প্লাবিত ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের পশ্চিম কালাগাজির পাড়ার অর্ধ শতাধিক বাড়ি ঘরসহ শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। এসব বাড়ি ঘরের ভিতরে বর্তমানে হাঁটু পরিমাণ পানি রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের কয়েকশ লোকের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা অচল হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিনের টানা প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে হোয়ানকের হরিয়ারছড়া, পশ্চিম কালাগাজির পাড়া, ধলঘাটার সুতুরিয়া বাজার, সরইতলা, পন্ডিতের ডেইল, মুহুরীঘোনা, ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের তেলি পাড়া, ঠাকুরতলা, দক্ষিন নলবিলা, মাতারবাড়ী ইউনিয়নের পুরান বাজার, মগডেইল, রাজঘাট, কালারমারছড়া ইউনিয়নের মোহাম্মদ শাহ ঘোনা, সোনার পাড়া,কুতুবজোমের,ঘটিভাঙ্গা,তাজিয়াকাটা, মগকাটা, শাপলাপুরের কায়দাবাদ, বারঘর পাড়া, ষাইটমারা, জেমঘাটসহ প্রায় সব নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এছাড়াও প্রবল বর্ষনে পাহাড় ধ্বসে কালারমারছড়ার অফিস পাড়ায় রবিউল হাসান নামের ৫ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। পাহাড়ে বা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত পরিবারদের বসবাস ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
গত ২০ জুন দুপুরে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইয়াছিন কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন এবং পাহাড় ধ্বসে নিহত শিশু রবিউল হাসানের পরিবারের পাশে দাঁড়ান। এসময় তিনি সহায়তা প্রদান করেন। পাশাপাশি তিনি পাহাড়ে বা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যেতে আহ্বান জানান। এদিকে, কক্সবাজারের বিভিন্ন উপজেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে যেতে বলা হচ্ছ।
আনন্দবাজার/শহক