পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে উপজেলা পরিষদের নবনির্মিত সম্মেলন কক্ষ (অডিটোরিয়াম) চত্বরসহ উপজেলা পরিষদ এলাকায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা প্রায় অর্ধশত মরা গাছ রয়েছে। এসব গাছ অপসারণ না করায় যেকোনো সময় ভেঙে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এসব মরা গাছের কারণে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে পথচারী ও যানবাহন।
ওই অডিটোরিয়ামের সামনে দিয়ে বয়ে যাওয়া বরিশাল – বরগুনা মহসড়কে চলাচল করা পথচারী, যানবাহন ও উপজেলা পরিষদে সেবা নিতে আসা জনসাধারণের উপর হালকা বাতাসেই যখন-তখন ভেঙে পড়ছে ডাল। ফলে উপজেলা পরিষদ চত্বরের মরা গাছগুলো মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মরা গাছগুলো উপজেলা পরিষদের। এই গাছগুলো অনেক বয়স হওয়ায় কারণে এবং ২০০৭ সালের ঘূর্ণিঝড় সিডর থেকে শুরু করে ২০২০ সালের ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে গোড়া নরে গিয়ে গাছগুলো মরে গেছে। যা এখন শুকিয়ে সামান্য বাতাসেই বড় বড় ডাল ভেঙে মানুষের ও যানবাহনের উপর পরে। এতে এখন পর্যন্ত বড় কোন দূর্ঘটনা না ঘটলেও যেকোন মূহুর্তে ঘটে যেতে পারে প্রাণনাশের মত ঘটনা। মরে যাওয়া শুকনো গাছগুলো উপজেলা পরিষদ উদাসীন হয়ে অপসারণ করছেন না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
তারা আরও বলেন, মারা যাওয়া এসব গাছ অপসারণ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করলেও কোনো লাভ হয়নি। কয়েক বছর ধরে মরা গাছগুলো এভাবেই ঠায় দাঁড়িয়ে আছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই রাস্তায় চলাচল করছেন যানবাহন, পথচারী ও উপজেলা পরিষদে সেবা নিতে আসা জনসাধারণ।
স্থানীয় কয়েকজন রিকশা ও অটো চালকরা জানান, প্রতিদিনই তাদেরকে এ রাস্তায় চলাচল করতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। কয়েকদিন পূর্বে হালকা ঝড়ে একটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় অল্পের জন্য রক্ষা পেয়েছেন এক রিকশা চালক ও রিকশায় থাকা একজন যাত্রী। এজন্য তাদের আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ তানিয়া ফেরদৌস বলেন, যেহেতু এটা কাটার অনুমতি দিবে মন্ত্রনালয় থেকে সেহেতু আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনেক আগেই কাগজপত্র পাঠিয়েছি। অনুমতি পেলেই গাছগুলো কাটা হবে।
মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান মোঃ আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, গাছগুলো মরে যাওয়ায় মানুষের রাস্তা দিয়ে চলাচলে বিপদের আশঙ্কা রয়েছে। আমি নিজেই মাঝে মধ্যে এখানে এসে দাঁড়ালে লোকজন জড়ো হয়। তখন ভয়ে থাকি কখন যেন মরা গাছ অথবা গাছের ডাল মাথার উপর ভেঙে পড়ে। ইতোমধ্যে গাছগুলো কেটে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। দ্রুতই মরা গাছ গুলো অপসারণ করা হবে।
আনন্দবাজার/শহক