শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তলিয়ে গেছে সিলেটের বাকিটুকুও

ক্রমেই আরও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি। ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল এবং টানা বৃষ্টিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। চলছে হাহাকার। বন্যাকবলিত বেশির ভাগ উপজেলায় পা রাখার মতো কোনো শুকনো জায়গা নেই।

আজ শনিবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে সিলেট নগরের অনেক উঁচু এলাকাও প্লাবিত হয়ে পড়ছে।

সিলেট নগরীর মদীনা মার্কেট, বাগবাড়ি, সুবিদবাজার, কলাপাড়া, আম্বরখানা, চৌহাট্টাসহ অনেক উঁচু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। প্রবল স্রোতসহ পানি প্রবেশ করতে থাকায় এসব এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। কোথাও বুক সমান, কোথাও কোমর সমান পানিতে নিমজ্জিত। দোকানপাটও খুলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এতে সিলেটে খাদ্য সঙ্কট চরম আকার ধারণ করেছে।

বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে রেললাইনও। ফলে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু জেলার ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা থেকে সারাদেশের সাথে ট্রেন যোগাযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।

ইতোমধ্যেই পানিবন্দী মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনতে উদ্ধারকাজে সেনাবাহিনী নেমেছে। তাদের সাথে আজ শনিবার সকাল থেকে উদ্ধারকাজে নৌ, বিমানবাহিনী ও কোস্টগার্ডকে যুক্ত করা হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যৈষ্ঠ এক আবহাওয়াবিদ জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ছিল এক ১০৮.৭ মিলিমিটার। সেখানে আজ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ১৫৭ মিলিমিটার। এরমধ্যে সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ছিল ৪৭ মিলিমিটার ও সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ছিল ১১০ মিলিমিটার। বৃষ্টি আরো ২-৩ দিন অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুনঃ  সিলেটে বাড়ছে বন্যার পানি, ঘরবন্দি সাড়ে ৬ লাখ মানুষ

আনন্দবাজার/টি এস পি

সংবাদটি শেয়ার করুন