শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মহাসড়কে বালুর ব্যবসা

মহাসড়কে বালুর ব্যবসা
  • ত্রিশালের ২৫ কি.মি. সড়কে বালি

ময়মনসিংহের ত্রিশাল অংশের ২৫ কিলোমিটার মহাসড়ক দখল করে অবৈধ ভাবে চলছে জমজমাট  বালুর ব্যবসা। নিয়ম না মেনেই খোলা ট্রাকে পরিবহন করা হচ্ছে বালু। এতে ঘটছে  প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনা।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল অংশ কাজীর শিমলা টু বগারবাজার ২৫ কিলোমিটার দখল করে অবৈধ বালুর ব্যবসা করছে একটি অসাধু চক্র। ফলে মহাসড়কে বাড়ছে দুর্ঘটনা। কয়েকবার অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হলেও কোনো ভাবেই থামছে না এ অবৈধ ব্যবসা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের ত্রিশাল অংশে পাঁচ থেকে সাত ফুট জায়গা দখল করে বালু বেচা-কেনা করছে একটি মহল। এমনকি মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে ইট-বালু রেখে সাব-ঠিকাদারির ব্যবসাও চালাচ্ছে চক্রটি। ফলে রাস্তার ওপর দিয়ে হাঁটতে গিয়েও  দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে। ইতিমধ্যে সড়কের ওই সব স্থানে কয়েকটি দুর্ঘটনাও ঘটেছে।

অপর দিকে উপজেলার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, কালিরবাজার, বালিপাড়া সড়ক সড়কে নিয়মের তোয়াক্কা না করে খোলা ট্রাকে বালু পরিবহন করা হচ্ছে । বালু বাতাসে উড়ে মটর সাইকেল আরোহী ও অন্য পরিবহনের যাত্রীদের চোখে যাচ্ছে এতে ঘটছে দুর্ঘটনা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ট্রাক ড্রাইভার বলেন, আমাদের মধ্যে অনেকেই কিছু বালু মহাসড়কের পাশে ফেলে রেখে যায়। আর বাকি অংশ বালু আসল মালিকের কাছে পৌঁছে দেন। এভাবে গোপনে জমা করা বালু পরে বিক্রি করে দেন।

এ বিষয়ে এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, রাস্তায় বালু রাখা ও খোলা ট্রাকে বালু পরিবহনের কারণে মোটর সাইকেল চলাচলে খুবই অসুবিধা হচ্ছে। যখন একটি গাড়ি আরেকটি গাড়িকে ওভার-টেক করে, তখন আমাদের বালুর ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালাতে হয়। অপর দিকে খোলা ট্রাকে বালু নেওয়ার কারনে বালু উড়ে চোখে আসে। এতে মোটরসাইকেল চালকদের বড় ধরনের দুর্ঘটনায় পড়তে হয়।

আরও পড়ুনঃ  জরুরি ভিত্তিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন জোরদারের দাবি প্রধানমন্ত্রীর

স্থানীয় পথচারী সুমন বলেন, রাস্তায় বালু রাখার কারনে দ্রুতগামী গাড়িগুলোর পাশ দিয়ে ঝুঁকি-পূর্ণভাবে আমাদের চলতে হয়। যদিও মানুষের চলার কথা ফুটপাত দিয়ে। কিন্তু মানুষকে চলতে হচ্ছে রাস্তার মাঝখান দিয়ে।

সড়ক ও জনপদ বিভাগের ময়মনসিংহ অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আমরা এই বিষয়ে জানতে পেরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করি। তখন রাস্তার সব বালু বাইরে ফেলে দেই। পাশাপাশি বেশ কয়েকজনকে জরিমানাও করি। এ বিষয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা জরুরি। আমাদের লোকবল কম। প্রশাসনের সাহায্য ছাড়া আমাদেরে একার পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়।

ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, অবৈধ বালুর ব্যবসা বন্ধে আমরা  মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছি। আর খোলা ট্রাকে বালু বহন করা সম্পূর্ন বেআইনি। এর আগে আমি খোলা ট্রাকে বালু বহন করায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। হাইওয়ে পুলিশ এ ব্যাপরটা আরো গুরুত্ব সহকারে দেখলে এটা থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন