বঙ্গীয় বদ্বীপে ১৮৭২ সাল থেকে প্রতি ১০ অন্তর আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। আর স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের তথ্যসংগ্রহের মাধ্যমে প্রথম আদমশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। সে হিসেবে ষষ্ঠ ও এ অঞ্চলে ১৬তম জনশুমানি এটি। গত একশ বছরে প্রতি কিলোমিটারে জনসংখ্যার বসবাস বৃদ্ধি পেয়েছে ৪২৮ শতাংশ। তাছাড়া এখানে এক শতাব্দির মধ্যে ১৯৬১-১৯৭৪ সালের এই ১৪ বছরে জনসংখ্যা বেড়েছে ২.৫০ শতাংশ।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএসের ২০০১ সালের আদমশুমারি হতে এ তথ্য পাওয়া যায়। ১৯০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী প্রতি কিলোমিটারে জনসংখ্যার বসবাস ছিল ১৯৬ জন। ১৯১১ সালে ২১৪, ১৯২১ সালে ২২৫, ১৯৩১ সালে ২৪১, ১৯৫১ সালে ২৮৪, ১৯৬১ সালে ৩৪৫, ১৯৭১৪ সালে ৪৮৪, ১৯৮১ সালে ৫৯০, ১৯৯১ সালে ৭২০, ২০০১ সালে ৮৩৯ জন। এ হিসেবে ৪২৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে হত ১০০ বছরে।
বিবিএসের তথ্য বলছে, ১৯০১ সালে এ অঞ্চলে জনসংখ্যা ছিল ২ কোটি ৮৯ লাখ ২৭ হাজার ৭৮৬ জন। ১৯১১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৩ কোটি ১৫ লাখ ৫৫ হাজার ৫৬ জন। ১০ বছরে বৃদ্ধির হার শুন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ। ১৯২১ সালে ৩ কোটি ৩২ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬ জন। তাতে বৃদ্ধির হার শুন্য দশমিক ৫২ শতাংশ। ১৯৩১ সালে ৩ কোটি ৫৬ লাখ ৪ হাজার ১৭০ বেড়েছে শুন্য দশমিক ৬৮ শতাংশ, ১৯৪১ সালে ৪ কোটি ১৯ লাখ ৯৭ হাজার ২৯৭ জন, বেড়েছে ১.৬৫ শতাংশ, ১৯৫১ সালে ৪ কোটি ৪১ লাখ ৬৫ হাজার ৭৪০ জন, বেড়েছে শুন্য দশমিক ৫০ শতাংশ, ১৯৬১ সালে ৫ কোটি ৫২ লাখ ২২ হাজার ৬৬৩ জন, বেড়েছে ২.২৩ শতাংশ, ১৯৭৪ সালে ৭ কোটি ৬৩ লাখ ৯৮ হাজার জন, বেড়েছে ২.৫০ শতাংশ, ১৯৮১ সালে ৮ কোটি ৯৯ লাখ ১২ হাজার জন, বেড়েছে ২.৩৩ শতাংশ, ১৯৯১ সালে ১১ কোটি ১৪ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৫ জন, বেড়েছে ২.১৫, ২০০১ সালে ১৩ কোটি ২৯ হাজার ২৪৯ জন, বেড়েছে ১.৫৪ শতাংশ।
বিবিএস সূত্র জানায়, ১৯৭৪ হতে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১.৮৪ কোটি মানুষ। ১৯৮১-৯১ পর্যন্ত জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় ২.১৬ কোটি, ১৯৯১-২০০১ সালে ১.৯০ কোটি ও ২০০১-১১ সাল পর্যন্ত বৃুদ্ধি পায় ১.৯৩ কোটি মানুষ।
চলতি ষষ্ঠ জনশুমারিতে গণনাকারী থাকবে ৩ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯৭ জন। সুপারভাইজার থাকছে ৬৩ হাজার ৫৪৮ জন। আইটি সুপারভাইজার থাকছে ৩ হাজার ৭৭৯ জন। থাকছে ৩ হাজার ৭৭৯টি জোনাল অফিস। জেলা সমন্বয়কারী রয়েছে ১৬৩ জন ও বিভাগীয় শুমারি সমন্বয়কারী থাকছে ১২ জন। ৩৫টি মন্ত্রণালয়ের ৩ হাজার ৭৭৯ জন কর্মকর্তা সার্বিকভাবে সহযোগিতা করছে। ১ লাখ ৬০ হাজার ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার জনশুমারিতে সহযোগিতার আশ^াস দিয়েছে। প্রতিটি জেলার দুটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে। প্রশাসনিক রিপোর্ট থাকবে। যাতে মূল কাজটি আগামীতে কাজে লাগবে।