মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
পদ্মা সেতুর যন্ত্রাংশে জাদুঘর-

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেতু নির্মাণে সবার ছবি

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেতু নির্মাণে সবার ছবি
  • ১১ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন

পদ্মা সেতুর নির্মাণের সঙ্গে জড়িত সকল পর্যায়ের কর্মীর সঙ্গে ছবি তুলবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সাধারণ শ্রমিক থেকে শুরু করে মন্ত্রী পর্যন্ত সবার সঙ্গেই ছবি তুলবেন। এসব ছবি পদ্মাসেতুর জন্য নির্মিতব্য জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে। সেতুর পশ্চিম প্রান্তের ভাঙ্গায় সেতুর একটি জাদুঘর করার পরিকল্পনা রয়েছে। কোদাল থেকে শুরু করে সব ধরণের যন্ত্রপাতি প্রস্তাবিত এই জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে।

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব নির্দেশনা দিয়েছেন। বৈঠক পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার কথা জানান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম। রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, আইএমইডি সচিব আবু হেনা মুরশেদ জামান এবং ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মামুন-আল-রশীদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এসময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে অনেক কিছু বলেছেন। তিনি সেতুর উদ্বোধনের দিন সব শ্রমিকের সঙ্গে ছবি তোলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সাধারণ শ্রমিক থেকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীও এর থেকে বাদ পড়বেন না। গ্রুপ ছবি হিসেবে এগুলো মিউজিয়ামে সংরক্ষিত থাকবে। মিউজিয়ামটি ভাঙ্গার দিকে হবে বলে চিন্তা করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী হাওড় অঞ্চলে কালভার্টের পরিবর্তে উঁচু সেতু এবং সড়কের পরিবর্তে এলিভেটে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে ঘুর্ণিঝড়প্রবণ এলাকায় বিদ্যুতের (সঞ্চালন) ভূগর্ভস্থ লাইন নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ  ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বসছে ১৬ হাজার সিসি ক্যামেরা

এসময় এক প্রশ্নের উত্তরে পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য মো. মামুন-আল- রশীদ বলেন, পদ্মাসেতু প্রকল্পে আন্তর্জাতিক মানের পুনর্বাসন করা হয়েছে। যা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে শুধু পুনর্বাসনের জন্যই প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। পদ্মাসেতুর মূল কাঠামোতে মাত্র ১২ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে জানিয়ে এই সদস্য বলেন, মূল সেতুর প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকারও কম।

পদ্মা সেতুর ব্যয় অত্যন্ত যৌক্তিক বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে ১০ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা ব্যয়ের মোট ১০টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ব্যয়ের মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৫ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ৭৫৬ কোটি টাকা এবং বাকি ৪ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা প্রকল্প সহায়তা হিসেবে বিদেশি ঋণ থেকে যোগান দেওয়া হবে। এর মধ্যে ‘রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (আরএমইউ) স্থাপন’ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ১ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা। এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সম্পূর্ণ অর্থ সরকারি তহবিল থেকে খরচ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন