চট্টগ্রামে সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেনার ডিপোতে কন্টেনার আগুন ও বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক শিল্প মালিকদের তালিকা প্রকাশ করছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। সর্বশেষ তালিকা মতে, ডিপোতে মোট ১২০ পোশাক কারখানার মধ্যে ঢাকার ছিল ১০৬টি এবং চট্টগ্রামের ছিল ১৪টি।
বিজিএমইএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, এখনও ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলোর কাছ থেকে তথ্য পাচ্ছি। প্রাপ্ত তথ্যে ডিপোতে ঢাকা-চট্টগ্রামের ১২০ পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানের ৩ কোটি ৭৪ লাখ ৪০ হাজার ৪৬৭ ডলারের রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার ছিল।
সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিজিএমইএর তালিকায় দেখা গেছে, পোশাকখাতের ১২০টি প্রতিষ্ঠানের তৈরি পোশাক জার্মানি, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, চীন, অস্ট্রেলিয়া, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডে যাওয়ার কথা ছিল। এসবের মধ্যে এইচএন্ডএম, এমবিএইচ, টপ গ্রেড, গ্যাস্টন, টার্গেট ও বিএএসএস ব্র্যান্ডের পণ্য ছিল।
অন্যদিকে, ক্ষতিগ্রস্ত চট্টগ্রামের ১৪টি প্রতিষ্ঠান হল- সি ব্লু টেক্সটাইল লিমিটেড, অ্যারো ফেব্রিক্স প্রাইভেট লিমিটেড, ক্লিফটন টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলস লিমিটেড, ভেনচুরা (বাংলাদেশ) লিমিটেড, ক্লিফটন কটন মিলস লিমিটেড, সুজি ফ্যাশনস লিমিটেড, এভালন ফ্যাশন লিমিটেড, স্যানটেক্স অ্যাপারেলস লিমিটেড, ডিভাইন ইনটিমেটস লিমিটেড, ডিভাইন ডিজাইন লিমিটেড, বিলেমি টেক্সটাইল লিমিটেড, প্যাসিফিক জিন্স লিমিটেড, কেডিএস অ্যাপারেলস লিমিটেড এবং কেডিএস গার্মেন্টস লিমিটেড।
ঢাকার ১০৬ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- শিন শিন অ্যাপারেলস লিমিটেড, কেএ ডিজাইন লিমিটেড, জেএফকে ফ্যাশন লিমিটেড, একেএইচ নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড, ভার্সাটাইল টেক্সটাইল লিমিটেড, রিও ফ্যাশন লিমিটেড, ভিশন অ্যাপারেলস লিমিটেড, ইমপ্রেস-নিউটেক্স কম্পোজিট টেক্সটাইল লিমিটেড, আমান টেক্সটাইল লিমিটেড, আয়েশা ক্লথিং কো. লিমিটেড, আসওয়াদ কম্পোজিট মিলস লিমিটেড, আরকে নিট ডাইয়িং মিলস লিমিটেড, টিআরজেড গার্মেন্টস লিমিটেড, রেমি হোল্ডিংস লিমিটেড, টারাসিমা অ্যাপারেলস লিমিটেড ও কেসি বটম অ্যান্ড শার্টস ওয়্যার কোম্পানি।
এছাড়াও রয়েছে ভ্যানগার্ড গার্মেন্টস লিমিটেড, মাশিয়াতা সুয়েটার্স লিমিটেড, মোশাররফ অ্যাপারেলস, চৈতি কম্পোজিট, স্টারলিং ডেনিম লিমিটেড, নিউওয়েজ অ্যাপারেলস, কেইলক নিউওয়েজ বাংলাদেশ লিমিটেড, আরাবি ফ্যাশন লিমিটেড, দিগন্ত সুয়েটার্স লিমিটেড, হপ-ইক (বাংলাদেশ) লিমিটেড, তাকওয়া ফেবিক্স লিমিটেড, ফাউন্টেন গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারিং, ম্যাগপি কম্পোজিট টেঙটাইলস লিমিটেড, স্মি অ্যাপারেলস লিমিটেড ও পিমকি অ্যাপারেলস লিমিটেড।
পাশাপাশি অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ভিনটেজ ডেনিম অ্যাপারেলস লিমিটেড, ন্যাচারাল ডেনিমস লিমিটেড, অনন্ত অ্যাপারেলস লিমিটেড, একেএইচ ইকো অ্যাপারেলস লিমিটেড, একেএইচ ফ্যাশন্স লিমিটেড, নিট এশিয়া লিমিটেড, অরুনিমা স্পোর্টস ওয়্যার লিমিটেড, টার্গেট ফাইন নিট ইন্ডাস্ট্রিজ, হেসং কোরিয়া লিমিটেড, সেটার্ন ট্যাক্সটাইলস লিমিটেড, ক্রিসেন্ট ফ্যাশন্স অ্যান্ড ডিজাইন লিমিটেড, এসকোর্প অ্যাপারেল লিমিটেড উল্লেখযোগ্য।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে এখন পর্যন্ত যে হিসাব পেয়েছি সেই হিসাব মতে ডিপোতে মোট ১২০টি পোশাক কারখানার ৩ কোটি ৭৪ লাখ ৪০ হাজার ৪৬৭ ডলারের রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনার ছিল। আমরা সবগুলো পোশাক কারখানা থেকে হিসাব পাওয়ার পর মোট ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারব।
আনন্দবাজার/শহক